মহেশতলার ঘটনার এক সপ্তাহ পার। এখনও থমথমে বিভিন্ন এলাকা। একাধিক দোকানপাট এখনও বন্ধ। এই অবস্থায় পুলিশি নজরদারির মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনগর এলাকা। বিজেপির তরফ থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানোর দাবি জানানো হলেও তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানায়। অবশেষে হাইকোর্ট থেকে অনুমতি মিলতেই বুধবার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পাশাপাশি যে মন্দিরে হামলা হয়েছিল সেখানেও যান তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ
এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু বলেন, প্রথমে মালদার মোথাবাড়ি, তারপর মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ, তারপর মহেশতলার মাধ্যমে কলকাতায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ ও রাজ্য সরকারের এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁরা ভীত রয়েছেন। বিজেপির পার্টি অফিসে ২৭ জন ক্ষতিগ্রস্থকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমরা, বিজেপি কর্মীরা তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।
দেখুন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য
Kolkata, West Bengal: BJP leader and Leader of Opposition in the State Assembly, Suvendu Adhikari says, "The situation is horrible. I have raised my voice several times earlier that in West Bengal, Hindus are not safe—especially in areas where the Hindu population is below 50… pic.twitter.com/Kt7FwUxggq
— IANS (@ians_india) June 18, 2025
মহেশতলায় অশান্তি
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মহেশতলার রবীন্দ্রনগরে দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে দুই ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে ঝামেলা লাগে। সেখান থেকে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক অশান্তি। দোকান ভাঙচুর, মন্দিরে হামলা সহ একাধিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় তাঁরাও। একাধিক পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।