কলকাতা: বীরভূমে সিবিআই হেফাজতে আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল রাজ্য পুলিশ। চলতি বছরের গোড়ার দিকে বীরভূমের বাগতুই (Bogtui) গ্রামে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, তার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalon Sheikh) সিবিআই হেফাজতেই সোমবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা এফআইআর রিপোর্টে সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে এই এফআইআর-কে চ্যালেঞ্জ জানাবে সিবিআই। লালনের পরিবারের পক্ষ থেকে হেফাজত নির্যাতনের অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করা হয়। লালন শেখের স্ত্রীর অভিযোগ, সিবিআই অফিসাররা তাঁর স্বামীকে খুনের হুমকি দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন, যাতে ওই মামলায় তাঁর নাম ক্লিয়ার করা যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই অভিযোগ 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়ে শেখের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে। সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ঘটনার নিন্দা করেন এবং বলেন, "সিবিআই যদি এতই স্মার্ট হয়, তাহলে কেন তিনি মারা গেলেন"। Bogtui Case: বগটুইকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর পর প্রতিবাদ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ধারণা করা হচ্ছে, শেখের নেতৃত্বে একদল জনতা বোগটুইতে বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ১০ জন নিহত হয়। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ওই ১০ জনকে গণহত্যার আগে খুব খারাপভাবে মারধর করা হয়েছিল, তাদের ময়নাতদন্ত বা ফরেনসিক পরীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে খুনের পর এই হিংসার ঘটনা ঘটেছে ওই গ্রামে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছে, ভাদু শেখের খুনের পিছনে রয়েছে তাঁর ও তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে সন্দেহজনক জমি সংক্রান্ত লেনদেন, বেআইনি ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ। গণহত্যার ৪ ডিসেম্বর আট মাস পরে লালন শেখকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেলায় সিবিআইয়ের তৈরি অস্থায়ী শিবিরে তাকে রাখা হয়েছিল।