West Bengal Budget: একুশের আগে জনমোহিনী বাজেট, কৃষিতে আয়কর মকুব রাজ্যের
অমিত মিত্র (Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি: দিন দশেক আগে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অমিত মিত্র (Amit Mitra) মোদি সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরেছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মা মাটি মানুষের সরকারের জমানায় কৃষি উৎপাদন ৯ শতাংশ বৃদ্ধি। সামাজিক ক্ষেত্রেও সাড়ে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অর্থমন্ত্রীর দাবি। এরই মধ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখলের শিরোপা মিলেছে দিল্লি থেকে। কিন্তু, বহু ক্ষেত্রে রাজ্যকে ন্যায্য পাওনা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বঞ্চিত করছে বলে সরব নবান্ন। বছর ঘুরতেই রাজ্য বিধানসভার ভোট। স্বভাবতই একুশ জয়ে সরকারের চূড়ান্ত রোড ম্যাপ হয়ে উঠতে পারে আজকের বাজেট।

বকেয়া মামলার নিষ্পত্তির জন্য একাধিক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের প্রস্তাব। ৯০ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে। প্রবীণ তফশিলিদের সামাজিক সুরক্ষায় বিশেষ প্রকল্প। তাঁদের মাসে ১০০০ টাকা বার্ধক্য ভাতা। এ জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। চা বাগানগুলিতে আয়কর সম্পূর্ণ মকুব করা হচ্ছে। পারিবারিক জমি একত্রিত করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি ৪.৫% থেকে কমিয়ে ০.৫% করার প্রস্তাব। গত আট বছরে ১২টি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হওয়ায় মোট সংখ্যা হয়েছে ৪২টি। আগামী দু’বছরে রাজ্যে আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। আগামী অর্থবর্ষে এ জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষি আয়কর সম্পূর্ণ ছাড়ের প্রস্তাব করা হচ্ছে। আরও পড়ুন-West Bengal State Budget: কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধানসভায় রাজ্য বাজেট, একুশের জয়কে সুনিশ্চিত করতে কতটা দিলদরিয়া মমতার সরকার?

৩১ মার্চ ২০২০-এর মধ্যে মোটর ভেহিকেল আইনে সমস্ত জরিমানা জমা দিলে ৫০ শতাংশ মুকুব করার প্রস্তাব। গ্লোবাল বিজনেস সামিটে পাঁচ বছরে বিশাল বিনিয়োগ এসেছে। বড় শিল্পের ক্ষেত্রে ৪.৪৫ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে। সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য। বাংলায় বেকারির হার ৪০% কমেছে। বাংলা এখন সারা দেশের মডেল, গুড গভর্নেন্সের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বাংলা। ভারতে শিল্পে বৃদ্ধির হার ২০১৯-২০ সালে বাংলায় শিল্পোৎপাদনে বৃদ্ধির হার ৩.৮ শতাংশ। গোটা দেশের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। কোথায় গেল মোদি সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া। গৃহনির্মাণে, ক্ষুদ্রশিল্প, গ্রামীণ রাস্তা, স্কিল ডেভলপমেন্ট, মাইনরিটি স্কলারশিপে বাংলা প্রথম। বাংলায় ২২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। রাজ্যের জিডিপির হার ১০.৪%, দেশের দ্বিগুণ আর্থিক বৃদ্ধির হার বাংলায়।