মালদহ, ২৪ নভেম্বর: সোমবার রাতে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহের মাণিকচক। বার্জ উল্টে (Barge capsized) গঙ্গায় তলিয়ে গেল ১০টি পণ্যবোঝাই লরি। ঝাড়খণ্ডের রাজমহল ঘাট থেকে পাথর বোঝাই লরিগুলি মালদহের মাণিকচক ঘাটে আসছিল। এই ঘটনায় সবমিলিয়ে লরির চালক, খালাসি ও যাত্রী এবং বার্জের কর্মী-সহ ২০ জন গঙ্গায় তলিয়ে যান। বেশ কয়েকজন পরে সাঁতরে উঠে এলেও অনেকেই এখনও নিখোঁজ। খবর পেয়েই শীতের রাতে স্থানীরা মাণিকচক ঘাটে ভিড় করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মালদা থানার পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে অকুস্থেলে যান জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র ও পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। স্থানীয় ডুবুরিরা উদ্ধার কাজে নামে। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। আরও পড়ুন-Tarun Gogoi Dies: প্রয়াত অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তরুণ গগৈ
স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের চোখের সামনে অসহায়ের মতো মানুষগুলো ডুবে গেল। আর্তচিৎকার শুনেই তাঁরা গহ্গার ঘাটে ভিড় করেছে। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রাজমহল ঘাট থেকে পাথর বোঝাই ১০টি লরি মালদহের মানিকচক ঘাটে এসে ভিড়েছিল। বার্জ থেকে এক এক করে লরি নামছিল। একটি লরি নেমে নিরাপদে নদীর ঘাট থেকে উপরে উঠে আসে। কিন্তু দ্বিতীয় লরিটি নামার সময়েই বিপত্তি ঘটে। বার্জের উপর থাকা লরিগুলির ভারে এক দিকে কাত হয়ে উল্টে যায় বার্জটি। ফলে ৮টি লরিই ডুবে যায় জলে। এই বার্জে করে লরির আনাগোনা নতুন কিছু নয়। পাহাড়ি এলাকার বিপদ এড়াতে ও সময় বাঁচাতে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে প্রতিদিন বার্জে চড়ে মাণিকচক ঘাটে আসে পাথর বোঝাই লরি। দুটি ঘাটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। এদিকে অতিরিক্ত ভারের কারণেই যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট। এমনকী যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থাও ছিল না। এসব নিয়ে অভাভ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে সেই অভিযোগ যে একদিন বাস্তবে পরিণত হয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটাবে, কেই বা জানত। সবমিলিয়ে শীতের রাতেই মালদহে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।