প্রয়াত তরুণ গগৈ (Photo Credit: PTI)

গুয়াহাটি, ২৩ নভেম্বর: করোনায় (COVID19) আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন। টানা ৬০ দিন লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কাছে হার মানলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তরুণ গগৈ (Tarun Gogoi)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। গত ২৫ অগস্ট করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। টানা দু' মাস হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২৫ অক্টোবর তিনি ছাড়া পান।

করোনামুক্ত হলেও তাঁর শরীরে নানারকম জটিল রোগ দানা বাঁধতে শুরু করে। একের পর এক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। গত ২ নভেম্বর ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার সকালে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামী তথা অসমের বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ জটিল হচ্ছে। রবিবার থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টা খুবই সঙ্কটজনক ছিল। চিকিৎসকরা তাঁকে নজরে রেখেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হল না।

আরও পড়ুন, বাঁকুড়া কর্মসূচিতে গিয়ে 'দুয়ারে-দুয়ারে সরকার', 'কর্মই ধর্ম' নতুন প্রকল্প ও বীরসা মুণ্ডার জন্মদিনে রাজ্যে ছুটি দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির

গুয়াহাটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, তিনি যাতে চিকিৎসায় সাড়া দেন তাঁর জন্য সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। দু'মাস হাসপাতালে জীবন মরণ লড়াইয়ের পর আজ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

১৯৭১ সালে তিনি প্রথমবার লোকসভায় নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৭, ১৯৮৩ এবং ১৯৯১ সালে তিনি লোকসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যমন্ত্রী) ছিলেন এবং ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তরুণ গগৈ মার্ঘেরিটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে অসম বিধানসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি আবার লোকসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তরুণ গগৈ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৬ সালের নির্বাচনেও তরুণ গগৈয়ের নেতৃত্বাধীনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পুনরায় জয়লাভ করে এবং গগৈ দ্বিতীয়বারের জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদাভিষিক্ত হন।