Bangladesh Protest.jpg (Photo Credit: Twitter)

বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীদের প্রভাব ক্রমশই বাড়ছে। একটা সময়ে হাসিনার সরকার থাকাকালীন এরা ছিল হিমঘরে। তবে বর্তমানে এই উগ্রবাদীদের দাপাদাপি বন্ধ করতে কার্যত ব্যর্থ ইউনুস সরকার। পরিস্কারভাবে বলতে গেলে ভারত বিরোধী বা কট্টরবাদী নেতা ও দলগুলিকে নীরবে প্রশ্রয়  দিচ্ছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। এই অবস্থায় ওপার বাংলায় ক্রমশ বাড়ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। আর সেই নিয়ে ভারত কোনও প্রতিক্রিয়া দিলেই পাল্টা হুঙ্কার দিচ্ছে সে দেশের মৌলবাদী নেতারা। এমনকী সাম্প্রতিককালে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের মিছিলেও শোনা গেল কলকাতা দখলের হুঙ্কার।

সম্প্রতি ঢাকায় এক মৌলবাদী দল তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ দাবী করেন যে, তাঁরা চাইলে কয়েকদিনের মধ্যেই কলকাতা, ত্রিপুরা সহ ভারতের সেভেন সিস্টার্স দখল করে নেবে। অন্যদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রাক্তন সেনাপ্রধানদের ভারত বিরোধী মিছিল বের হয়। যেখানে স্লোগান ওঠে যে ৪ দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করা হবে। এবং তাতে ভারত কেন আমেরিকাও কিছু করতে পারবে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই ধরনের হুমকি আসার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় বেড়েছে নিরাপত্তা।

যদিও ভারত বাংলাদেশের এই হুঙ্কারে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার একটি সাক্ষাৎকারে কার্যত কটাক্ষের সুরে বলেন, বাংলাদেশের সেনাকে আটকাতে রাজ্যের সিভিক পুলিশই যথেষ্ট। ভারতীয় সেনা সম্পর্কে ওদের কোনও ধারনাই নেই। বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সৈন্যবল রয়েছে ভারতের। যদিও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।