Bangladesh MP Anwarul Azim Anar (Photo Credits: X)

কলকাতা, ২৯ মে: প্রতিটি মুহূর্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনার (Anwarul Azim Anar) হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই ঘটনায় এখন কলকাতায় এসে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন-উর-রসিদ। আর তিনি এই তদন্তপ্রক্রিয়া যুক্ত হতেই উঠে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের সাংসদ খুন হয়েছেন সেই সঞ্জীবা আবাসনের সেপটিক  ট্যাঙ্কের পাইপলাইন থেকে উদ্ধার হয়েছে চুল এবং মাংসের টুকরোর নমুনা।

যদিও দেহাংশগুলি যে ৫৬ বছর বয়সী আনওয়ারুল আজিমের, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে ইতিমধ্যেই সেগুলি সংগ্রহ করে ফরেন্সিক টিমের কাছে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ ম্যাচ করেই বলা যাবে যে এগুলি আদৌ বাংলাদেশের সাংসদের নাকি অন্যকিছু। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান বলেন, এই তদন্তে সিআইডির অফিসাররা খুবই সাহায্য করছেন। আমিই পরামর্শ দিয়েছিলাম সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিদর্শন করার জন্য। সেই মতো ওনারা তল্লাশি করেছেন। আর তারপরেই উদ্ধার হয়েছে দেহাংশগুলি।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। যার মধ্যে অন্যতম কসাই জিহাদ হাওয়ালাদার। তাঁকে জেরা করে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেইমতো তদন্ত করেই খুনের কিনারা করা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তথা আনওয়ারুল আজিমের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন সহ আরও তিনজন এথনও অধরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, শাহিনের সঙ্গে ঝিনাইদহের সাংসদ বহু বছর আগে সোনার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে কয়েক কোটি টাকা সরিয়েছিলেন মৃত সাংসদ। সেই রাগেই দীর্ঘ সময় ধরে ঠাণ্ডা মাথায় এই খুনের পরিকল্পনা করে শাহিন। তারপর সময় নিয়ে আনওয়ারুল আজিম আনারকে হত্যা করে আমেরিকায় পালিয়ে যায়। শাহিন ছাড়াও মুস্তাফিজুর, সিয়াম এবং ফয়জলের খোঁজে ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়েছে সিআইডি।