কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি: আজই রাজ্য বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব (Anti CAA resolution) পেশ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। আগেই এই খবর জানিয়েছিলেন তিনি। সব রাজনৈতিক দলকেই প্রস্তাব সমর্থন করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আজই দুপুরে রাজ্য বিধানসভার সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগেই এই প্রস্তাব পেশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সব রাজনৈতিক দলকেই এই প্রস্তাব সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম থেকেই সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের বিরোধিতা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই নিয়ে রাজ্যের একাধিক জায়গায় মিছিল করেছেন তিনি। উত্তরের দার্জিলিং থেকে দক্ষিণের জেলা সর্বত্র সিএএ বিরোধী মিছিলে শামিল হয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরে ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী চিঁড়ে খাওয়া নিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মন্তব্যকে টেনে তোপ দাগেন বিজেপির দিকে। বলেন, “একটা রঙে দেশ চলে না। দেশে কে চিঁড়ে খাবেন, সেটা কি বিজেপি ঠিক করবে? চিঁড়ে খেলে নাকি মানুষ চেনা যায়, জীবনে শুনিনি। পোশাক দেখেও নাকি চেনা যায়, শুনিনি এ সব। এ জিনিস কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের মাটিতে ভাগাভাগি হবে না। আমরা ক্রীতদাস নই, ভারতের নাগরিক। কেন অভিনন্দন যাত্রা করছে? ওটা আসলে বিসর্জন যাত্রা।” বিজেপির পাশাপাশি এ দিন বিরোধী দলগুলির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “নোটবন্দির বিরুদ্ধে প্রথম আমি বিরোধিতা করেছিলাম। আমায় অনেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী করে বুঝলাম এটা খারাপ। নোট বাতিল নিয়ে ৮টা দল আমার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল। বাকিরা গেল না। তারা যদি যেত, তাহলে নোটবন্দি বাতিল হয়ে যেত। NPR বৈঠকে যাইনি। বাকিরা গিয়েছিল। কী ভেবেছিল? মমতাকে একলা করে দেবে? আমি তো একলা চলোয় বিশ্বাসী।” আরও পড়ুন-Corona Virus Scar In Kolkata: করোনা ভাইরাসের ছোবলে এবার কলকাতা, চিনা নাগরিককে ভর্তি করা হল বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে
Kolkata: A copy of the state govt's resolution against the #CitizenshipAmendmentAct, to be tabled in the assembly today. #WestBengal pic.twitter.com/0KTYrKXAKp
— ANI (@ANI) January 27, 2020
২০২১-এ বিজেপিকে হারাতে যে যুব সম্প্রদায়ের ওপরেই তিনি ভরসা রাখছেন, এদিন তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের ছাত্র নেতৃত্বকে সামনে বসিয়ে আরও আক্রমণাত্মক ছাত্র আন্দোলনের ডাক দিলেন তিনি। যুব সম্প্রদায়কে তিনি বলেন, “আগামী দু-বছর সাম্প্রাদায়িক শক্তিকে আটকাতে স্বার্থহীন ভাবে কাজ করে যাও, কথা দিচ্ছি আমি তোমাদের ভবিষ্যত গড়ে দেব।”