কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি: সর্দি-কাশি নিয়েই কলকাতায় ফিরেছিলেন, চিনের নাগরিক (Chinese national) বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে (Beleghata ID Hospital)। জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁকে অ্যাপেলো হাসাপতালে ভর্তি করা হলেও পরে সংক্রমণ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বছর আঠাশের জো হুয়ামিন চিনের নাগরিক। গত ছ’মাস ধরে তিনি নানা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। নামিবিয়া, মরিসাস, মাদাগাস্কার ঘুরে চিন হয়ে ২৪ জানুয়ারি কলকাতায় আসেন। সূত্রের খবর, জ্বরে কাবু হয়ে তিনি নাকি নিজেই অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। জো-এর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আলাদা কেবিনে রেখেই চলছে চিকিৎসা। তাঁর শারীরিক অবস্থা ও উপসর্গ দেখে ডাক্তারদের ধারণা নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সঙ্গে নিয়েই ভারতে ঢুকেছেন জো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নোভেল করোনা ভাইরাস বা উহান ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই সার্স বা ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম’-এর মতো। প্রবল জ্বর-সর্দি-কাশি থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন রোগী। সংক্রমণ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা শরীরেই। কলকাতায় ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, সংক্রামিত রোগীদের আলাদা করে রাখার জন্য হাসপাতালে ১৬টি কেবিন ও দু’টি আইসিইউ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে কথা হলে প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর মতো যাবতীয় ওষুধপত্রও মজুত রাখা হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ টিম তৈরি রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন-Coronavirus Scare in Bihar: চিন থেকে ফিরেই সর্দি-কাশি, আইসিইউ-তে ভর্তি বিহারের তরুণী
সোমবার ছাপড়ার বাসিন্দা এক তরুণী (Girl From Chapra) চিন থেকে ফেরার পরেই সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হন। পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, টেস্টের পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সব উপসর্গই দেখা গেছে মেয়েটির মধ্যেই। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে একতা কুমারী নামের ওই তরুণীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে দিন দুয়েক আগে চিন-ফেরত দুই যাত্রীর থেকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়ানোর পরে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তর। চিনে বহুদিন বসবাস করার পরে দেশে ফিরেছেন এমন মানুষজন যাঁরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বা সর্দি-জ্বর-কাশি রয়েছে, তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই জন্য কয়েকটি হাসপাতালে তৈরি হয়েছে বিশেষ ওয়ার্ড, প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিমকে। ভাইরাসের আতঙ্কে দেশের সাতটি বড় বিমানবন্দরে চলছে থার্মাল-স্ক্রিনিং