কাঁথি, ২৫ মার্চ: আগেই দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছে মেজো ভাই শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নরেন্দ্র মোদির কাঁথির জনসভায় হাজর ছিলেন বাবা শিশির অধিকারীও। ভাই সৌম্যেন্দুও আগেভাগে পদ্ম শিবিরে নাম লিখেয়েছেন। এতদিন ধরে বলা হচ্ছিল, শান্তিকুঞ্জে তৃণমূলের একা কুম্ভ রক্ষায় রয়ে গেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর দলবদলের জল্পনা জিইয়ে রেকেই জানালেন, দুএকদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে য়াবে তিনি তৃণমূল নাকি পদ্ম শিবিরের। এবং এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা মারতেও ছাড়েননি অধিকারী পরিবারের বড়ছেলে। বলেছেন, “পদ্মফুল তো ভারতের জাতীয় ফুল। তাকে উপড়ে ফেলার ক্ষমতা কার আছে! আর হিন্দু ধর্মে দুর্গা পুজো করতে ১০৮টি পদ্মফুল লাগে। ওটা উপড়ে ফেলার ক্ষমতা ওনার মতো মানুষের আছে বলে মনে হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “মমতা আবেগতাড়িত হয়ে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়েছেন।দাঁড়ানো উচিত হয়নি। নন্দীগ্রামের মানুষ ওঁর সঙ্গে নেই।” এবার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিপক্ষ একদা রাজনৈতিক সহযোগী তথা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে যতবার নির্বাচনী প্রচার করেছেন ততবারই নাম না করে অধিকারীদের মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক, গদ্দার বলে আখ্যায়িত করেছেন তৃণমূল নেত্রী। এর জবাব শিশির অধিকারীর মন্তব্য, “বেইমানি আমি করিনি। আমার পরিবারের সঙ্গে বেইমানি করেছে ওরা। ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার যে ডাক উঠেছিল তখন যদি কাঁধে নিয়ে আমি এখানে নিয়ে না আসতাম। যদি নন্দীগ্রামে সঙ্গে না থাকতাম, যদি সিঙ্গুর আন্দোলনে সাথ না দিতাম, যদি কেশপুরে দাঁতে দাঁত দিয়ে লড়াই না করতাম তাহলে উনি মুখ্যমন্ত্রী হতেন? আপাতত নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য যা ইচ্ছা বলছেন।” আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: কমিশনের নির্দেশ, ভোটের মুখে পদে থেকেও নিষ্ক্রিয় সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ
এদিকে দিন দুয়েক আগেই শান্তিকুঞ্জের সামনে দিয়ে রোড শো করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিকারীরা কেন সদলবলে তৃণমূল ত্যাগ করল, সে প্রসঙ্গে শিশিরবাবু অভিষেককে টেনে বলেছেন, “ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করে দিতে কলকাঠি নেড়ে শুভেন্দুকে সরাতে চেয়েছিলেন মমতা।” সেই অপমানেই সপরিবারে দলত্যাগ। তবে দলত্যাগের পর শুভেন্দু বারংবার মাননীয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও প্রথম দিকে উচ্চবাচ্চ করেননি শিশির অধিকারী। তবে পরিবারকে যখন গদ্দার মীরজাফর বলে দাগিয় দেওয়া হল তখন আর চুপ থাকেননি তিনি। এবার মুখ খুললেন দিব্যেন্দুবাবুও।