নন্দীগ্রাম, ৩১ মার্চ: রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Elections 2021)। তার আগেভাগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ল রাজ্যের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। এদিন সকালেই নন্দীগ্রামে প্রবেশের মুখে দেখা গেল বসেছে নাকা চেকিং। ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার চক্কর কাটছে নন্দীগ্রামের আকাশে। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নন্দীগ্রামে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামের সবকটি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই ৩৫৫টি বুথের জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার ভোটের দিনে নন্দীগ্রামে দু’হাজারের কাছাকাছি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সমস্ত বুথেই থাকবে মাইক্রো অবজার্ভার। ৭৫ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।
নন্দীগ্রামে ১ জন করে সাধারণ পর্যবেক্ষক, পুলিশ পর্যবেক্ষক ও ব্যয় পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার শেষদিনের প্রচারে শুভেন্দুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোবের ঘটনা ঘটেছে। মিঠুনের রোড শোয়ের পর আমগাছিয়ায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের পর খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মহিলাকে হাত বা বাঁধা অবস্থাতে উদ্ধার করা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত চার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু হলেও গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করেছে শাসকদল। এদিন রোড শো করেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বিমান বসুও সেই পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন। অভিযোগ এই দলের বেশ কিছু কর্মী সমর্থকদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কারোর কারোর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের আগেই অপসারিত হলদিয়ার এসডিপিও ও মহিষাদলের সিআই
গতকাল রেয়া পাড়ার অস্থায়ী ঠিকানা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রচারের জন্য় বের হন তখন তাঁর গাড়ি ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। একই ঘটন ঘটে মহম্মদ বাজারেও। তৃণমূল নেত্রীর নিরাপত্তা কর্মীরা ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসব ঘটনার পরেই নিরাপত্তার খাতির নন্দীগ্রামে কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী কাল মমতা ও শুভেন্দু যখন বুথে বুথে ঘুরবেন তখন তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীরাই দায়িত্বে তাকবেন।