প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

কলকাতা, ৯ এপ্রিল: দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের বিপজ্জনক। এদিকে রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। তিনটি দফার ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি এখনও পাঁচ দফার ভোট। এরমধ্যে ফের হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ (Coronavirus)। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কোভই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তাব ও আলাপ আলোচনার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফের সংক্রমণ কমাতে রাজ্য সরকারি দপ্তরগুলিতে ৫০ শতাংশ হাজিরা চালু হবে।  ইতিমধ্যেই কৃষি, সেচ-সহ বেশ কয়েকটি দপ্তর ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ জারি করেছে।

উল্লেখ্য, আগামী দু'দিনের মধ্যেই নবান্ন থেকে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ভাবে নির্দেশ জারি করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত। এ বিষয়ে বিজেপি সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শীল ও টিএমসি সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী দু'জনেরই মত, আলাদা করে দপ্তরওয়াড়ি নয়, নবান্নের তরফেই হাজিরার নয়া নির্দেশ অবিলম্বে জারি হওয়া দরকার। লকডাউনের সময় যেমন নির্দিষ্ট সংখ্যা মামলার হাইকোর্টের তালিকাভুক্ত থেকে তার শুনানি হয়েছে। ফের তেমনকিছু চালু হবে। ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায়। আইনজীবীদের উপস্থিতির হারও কমানো হচ্ছে। এদিকে ব্যাংকশাল কোর্টের এক বিচারক ও তাঁর পেশ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। তাই এই পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ হবে কিনা তা আজ বৈঠকের পর জানা য়াবে। তবে আদালত চত্বরে ও কক্ষে আইনজীবীদের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হবে। কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি সার্কিট ও আন্দামানেও এখই নির্দেশিকা জারি হচ্ছে। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: ভোট আবহে তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র চেতলা

দেশে করোনার প্রকোপ বেড়েছে। রাজ্যের অবস্থাও বিপজ্জনক। তায় নির্বাচনের কারণে জনসভা লেগেই রয়েছে। সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে সময় নেবে না। গতবারের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে যেসমস্ত বিধি বলবৎ হয়েছিল, এবারও সেই পথেই হাঁটছে সরকার। ইতিমদ্যেই জরুরি পরিষেবা, মাস্ক, স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত আয়োজনের ব্যবস্থা হয়েছে. চিকাৎসক, চিকিৎসাকর্মী, কোভিড হাসপাতাল, প্রয়োজনীত সরঞ্জাম সব তৈরি রাকার নির্দেশ জারি হয়েছে।