কলকাতা, ৯ এপ্রিল: রাজ্যে ভোট আবহে (WB Assembly Elections 2021) উত্তপ্ত কলকাতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বৃহস্পতিবার রাতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল যুযুধান বিজেপি তৃণমূলের সংঘর্ষ। ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এই সম য়চেতলা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিকেও ভাঙচুর করা হয়। দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে। সবমিলিয়ে ভোটের আগেই অশান্ত হয়ে ওঠে রাতের চেতলা। এরপর থানায় অভিযোগ জানাতে যায় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেখানে ফের তৃণমূলের সমর্থকদের মুখোমুখি হয়ে একপ্রস্থ ঝামেলা হয়। ব্যানার ছেঁড়া থেকে হামলা সবকিছুর জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৮ জন নতুন আক্রান্ত, করোনার ত্রাসে ভারত
এরপরই ফেসবুকে লাইভ করে রুদ্রনীল জানান, “পিস্তল, বন্দুক, লাঠি নিয়ে এসে হুমকি দেয় তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রায় আ়ড়াইশো জন ছেলে মিলে হামলা চালায়। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দেয়। কিছুদিন আগে গোপালপুরেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। আজ মহিলারা রুখে না দাঁড়ালে ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারত। এদের দোষটা কী, শুধু বিজেপি-কে সমর্থনই কী রোষের কারণ?” তবে তৃণমূলও ছেড়ে দেয়নি। দলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন,“অভিযোগ-নালিশের পার্টি হয়ে গেছে বিজেপি। আসলে ওরা লাগাতার প্ররোচনা দিয়ে চলেছে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ভিন রাজ্য থেকে এখানে লোকজন ঢুকিয়ে বাংলার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।”
চলতি বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রের বরাবরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে ভবানীপুরের পাশেই চেতলা। তা ছাড়া, চেতলা রাজ্যের বিদায়ী পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের নিজের পাড়াও বটে। বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম দফায় ২৬ এপ্রিল ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট। তার আগে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের সংঘর্ষে অশান্ত হল খাস কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। গোটা ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত। আর রুদ্রনীলের দাবি, দিদি ও ববি’দা কে ভোটবাক্সে মানুষ এর জবাব দেবে।