Nadia: আত্মহননের পোস্ট, এবার ফেসবুকের বদান্যতায় নদিয়ার যুবকের প্রাণ বাঁচালো পুলিশ
ফেসবুক লোগো (Photo Credit: Pixabay)

নদিয়া, ৭ সেপ্টেম্বর: কিছুদিন আগেই আয়ার্ল্যান্ডের ফেসবুক কর্মীর (facebook) তৎপরতায় দিল্লি ও মুম্বই পুলিশ এক যুবকের আত্মহত্যা রুখে দিয়েছিল। ফের ফেসবুকের বদান্যতায় প্রাণ বাঁচল যুবকের। তবে এবার আর দিল্লি মুম্বই নয় পশ্চিমবঙ্গ। নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার ঘটনা। ধারালো ব্লেড নিয়ে আত্মহত্যা করতে চলেছেন। রাত দেড়টা নাগাদ ইমেল করে বিষয়টি কলকাতা পুলিশকে জানায় ফেসবুক কর্তপক্ষ। খবর পেয়েই অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে খোঁজখবর শুরু করে লালবাজারের সাইার ক্রাইম শাখার পুলিশকর্মীরা। ফেসবুক শুধু যুবকের প্রোফাইলের হদিশ দিয়েছিল। সেখানে অ্যাবাউট আসে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর রয়েছে। এবার গুগল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে দেখে নেওয়ার পালা, কোন ফোন নম্বরটি কাজ করছে।

দেখা যায় একটি ফোন নম্বর নদিয়া জেলায় সক্রিয়। তারপর ওই মধ্যরাতেই লালাবাজার থানা থেকে ফোন যায় ব্যক্তির কাছে। আত্মহত্যায় উদ্যত যুবকের বাবার সঙ্গে পুলিশের কথা হয়। তাঁর কাছে তথ্য পেয়েই ভীমপুর থানায় খবর দেয় কলকাতা পুলিশ। নির্দেশিকা পেয়ে ততক্ষণে যুবকের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ভীমপুর থানার পুলিশ। ছেলে পাসের ঘর ধারালো ব্লেডের সাহায্যে নিজেকে শেষ করে দিতে চলেছে। রাতবিরেতে ফোনে এমন খবর পাওয়ার পর আর কোন বাবার মাথা ঠিক থাকতে পারে। তবে তিনি রীতিনতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পাশের ঘরেই ঘুমিয়ে আছে ছেলে, এমনটাই জানতেন। সে কিনা আত্মহ্ত্যার জন্য তৈরি হচ্ছে! পড়িমরি সে ঘরে গিয়ে ছেলেকে নিরস্ত করেন তিনি। তক্ষণে পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে। পুলিশকর্মীরা যুবককে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায় যুবক। আরও পড়ুন-Kangana Ranaut: মুম্বইতে আসছেন কঙ্গনা, অভিনেত্রীর জন্য ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তার বন্দোবস্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে ওই যুবকের বাবাকে বলা হয়েছে, এই প্রথম নয়। গত কয়েকমাসে বেশ কেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তাঁর ছেলে। বিষয়টি এবার ফেসবুক কর্মীদের নজরে পড়ায় বিপদের ফাঁড়া কেটেছে। ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছে, তাই তাঁর কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। ভীমপুর থানার পুলিশকে যুবকের জন্য কাউন্সেলিংয়ের বন্দোবস্ত করার পরামর্শও দেয় কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেল। লকডাউনে কাজ হারিয়ে বহু মানুষ মানসিক চাপে নিজেকে শেষ করে দিতে চাইছে, তাই সবাইকেই সাবধানে থাকার ও সহমর্মী হওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। এভাবে ছেলের প্রাণ বাঁচানোয় পুলিশ ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুবকের বাবা।