কলকাতা, ১১ নভেম্বর: আজ বুধবার ভোররাত থেকে রাজ্যে চালু হল লোকাল ট্রেন (local train service)। ভোর ৩ টা ৫ মিনিটে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে দীর্ঘ ৮ মাস পর লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ালো। সেই ট্রেনে ক্যানিং থেকে ১১৫ জন যাত্রী। বহু মহিলা কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতে যান। করোনাভাইরাস অতি মহামারীতে এবং লকডাউনে তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। তাই কমেছে মহিলা যাত্রীর সংখ্যা। একইভাবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রানাঘাট শিয়ালদা শাখা এবং শিয়ালদা রানাঘাট শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হতে খুশি সকলেই। এদিন ভোর থেকেই ট্রেনে ওঠার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। উপস্থিত স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা থার্মাল স্কিনিং করে চেক করেছেন।
স্টেশনে ঢোকার মুখে যাত্রীদের থার্মাল স্কিনিং চলছে, মাস্কহীন যাত্রীদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে মাস্ক। কোভিডবিধি ট্রেনের কামড়ায় মানা হচ্ছে কি না তা এখন দেখা হলেও বেলা বাড়তে কী হবে বলা মুশকিল। কারণ তখন যাত্রী সংখ্যাও বাড়বে হু হু করে। এদিন ভোর ছটা থেকেই শিয়ালদা মেন শাখার প্রতিটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছে। কাটোয়া হাওড়া শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হলেও কোভিড বিধি মেনে কেউ টিকিট কাটছেন না বললেই চলে। তুলনামূলক শিয়ালদা বজবজ শাখায় ট্রেন অনেকটাই ফাঁকা। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সোনারপুর স্টেশনে কোভিড বিধি মেনেই টিকিট কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়েছেন যাত্রীরা। আবার বালিগঞ্জে দেখা গেল ছোট ছোট জটলায় যাত্রীদের ভিড়। প্রায় সকলের মুখেই রয়েছে মাস্ক। আজ থেকে শিয়ালদা ডিভিশনে ৪১৩টি এবং হাওড়া ডিভিশনে চলবে ২০২টি লোকাল ট্রেন চলবে। অফিসটাইমে ভিড়ের কথা মাথায় রেখে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১টার মধ্যে চালানো হবে বেশি সংখ্যক ট্রেন। দৈনিক এবং সিজন টিকিটের জন্য হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনের বাইরে ইতিমধ্যেই যাত্রীদের লম্বা লাইন পড়েছে। টিকিটের লাইনেও দূরত্ববিধির বিষয়টি নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। আরও পড়ুন-Bihar Assembly Election Results 2020: বিহার ভোটে চূড়ান্ত সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ১২৫ আসনে জয়ী এনডিএ, মহাজোটের দখলে ১১০টি কেন্দ্র
এদিকে ট্রেনের চাকা গড়াতে না গড়াতেই শুরু হয়েছে বিশৃঙ্খলা। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার টিকিট কাউন্টারে কোভিড বিধি মানার নিয়ম যেন ব্রাত্য। প্ল্যাটফর্মজুড়ে গোল গোল দাগ কাটা থাকলেও যাত্রীরা সেখানে না দাঁড়িয়ে একেবারে গায়ে গা লাগিয়ে টিকিট কাউন্টারে ভিড় করেছে। টিকিট কাউন্টারের অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিনগুলির একটিও কাজ করছে না। দীর্ঘ আটমাস পর নিউ নর্মালে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ভেন্ডিং মেশিনের দূরবস্থায় চলছে চরম অরাজকতা। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করাই রাজ্য রেলের কাচে কার্জত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।