ধরলা নদীতে ঝিনুক কুড়োতে গিয়ে বিপত্তি। পা পিছলে নদীতে পড়ে গেল এক শিশু। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জলে নামল আরও দুজন। শেষমেশ তিনজনেরই মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসান ঘাটে। জানা যাচ্ছে, দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও একজন তবুও বেঁচে ছিল। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তিনজনই ঘাটের কাছে ঝিনুক কুড়োচ্ছিল। আচমকাই পা পিছলে যাওয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, সকলেরই বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
পরিবারসূত্রের খবর, তিনজনের মধ্যে দুজন সুস্মিতা অধিকারী ও তাঁর ভাই আকাশ অধিকারী। সম্প্রতি মামা অনুকুল বর্মনের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। তাঁর ছেলে অর্থাৎ সুস্মিতাদের মামাতো ভাই অঙ্কুশ বর্মনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধরলা নদীর কাছে ঘুরতে যায়। তখনই ঘটে বিপদ। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বিপদ বুঝেই তিনজনকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হল না। ঘটনার থেকে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।