নয়াদিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর: গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পেটিএম (Paytm) অ্যাপটি। ক্যাসিনো-র মত অনলাইনে টাকা লাগানোর খেলায় প্ররোচনা দিত পেটিএম। এমনটাই অভিযোগ আনা হয়েছে সংস্থাটির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার সকালে সরিয়ে নেওয়া হয় পেমেন্ট অ্যাপ পেটিএম। যদিও পেটিএম বিজনেস (Paytm for business), পেটিএম মল (Paytm Mall), পেটিএম মানি-র (Paytm Money) মত অ্যাপগুলিকে এখনও প্লেস্টোর থেকে সরানো হয়নি। পেটিএম অ্যাপটি দেশের অন্যতম সফল স্টার্টআপ সংস্থা। এই অ্যাপটিতে মাসিক ব্যবহারির সংখ্যা ছিল ৫০ মিলিয়ন। পড়ুন: Paytm Removed From Google Play Store: জুয়ায় প্ররোচনা! অভিযোগে গুগল প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল Paytm
পেটিএম অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার কয়েকঘণ্টা পর টুইটারে বিবৃতি পেশ করল সংস্থা। "আগামী কয়েকদিন গুগল প্লে স্টোর থেকে পেটিএম অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড কিংবা কোনওরকম আপডেট করা যাবে না। তবে খুব শীঘ্রই ফিরে আসব আমরা। আপনাদের সমস্ত টাকা নিরাপদে রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সেই টাকা আপনারা আবার ব্যবহার করতে পারবেন।" সংস্থার তরফে দেওয়া বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে।
Dear Paytm'ers,
Paytm Android app is temporarily unavailable on Google's Play Store for new downloads or updates. It will be back very soon.
All your money is completely safe, and you can continue to enjoy your Paytm app as normal.
— Paytm (@Paytm) September 18, 2020
গুগল প্লে স্টোর থেকে পেটিএম উধাও হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গুগলের পণ্য, অ্যান্ড্রয়েড সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুজান ফ্রে এই বিষয়টি নিয়ে একটি মন্তব্য পেশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, "অনলাইনে ক্যাসিনো বা ওই ধরণের জুয়া সংক্রান্ত কোনও খেলাকে আমরা একেবারেই বরদাস্ত করি না। ব্যবহারকারীদের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা এই নীতিগুলি নিয়েছি। এই অ্যাপটির মাধ্যমে একটি এক্সটার্নাল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক করা ছিল। যার মারফত পেইড টুর্নামেন্ট খেলে পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকা জিতে নেওয়ার সুযোগ ছিল।" তিনি আরও বলেছেন, "যদি আমরা দেখি কোনও অ্যাপ আইন লঙ্ঘন করছে। আমরা সেই সংস্থার ডেভলপারকে সতর্ক করি। কিন্তু তারপরও যদি তারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে, আমরা আরও গুরুতর পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। যেগুলির মধ্যে গুগল প্লে ডেভেলপারের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্তও থাকতে পারে।"