MrBeast YouTube Subscribers: ডিজিটাল দুনিয়ায় বড় মাইলস্টোন গড়লেন ২৭ বছরের মার্কিন ইউ টিউবার জিমি ডোনাল্ডসন (Jimmy Donaldson)। যাকে গোটা দুনিয়া চেনে 'মিস্টার বিস্ট' (Mr Beast) নামে। দুনিয়ার এক নম্বর স্ট্রিমিং প্ল্য়াটফর্ম ইউ টিউবে 'মিস্টার বিস্ট'-এর ৪০ কোটি সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেল। বিশ্বের প্রথম ইউ টিউবার হিসাবে এই প্ল্য়াটফর্মে ৪০ কোটি সাবস্ক্রাইবারের মালিক হয়েছেন 'মিস্টার বিস্ট'। আর তাই ইউ টিউবের সিইও নীল মোহন নিজে হাতে তাঁকে বিশেষ 'কাস্টম প্লে বটন' পুরস্কার তুলে দিলেন। যেমন ১ কোটি সাবস্ক্রাইবার হলে ইউ টিউবের গোল্ড প্লে বাটন মেলে। ১০ কোটি হলে মেলে 'ডায়মন্ড প্লে বটন'। প্রসঙ্গত, একজন সাধারণ ইউ টিউবার হয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে সবচেয়ে কম বয়েসে বিলিয়নিয়র হওয়ার নজির গড়েছেন 'মিস্টার বিস্ট' (পরিবারের কোনও আর্থিক সাহায্য ছাড়া) ।
বিস্টের সাবস্ক্রাইবারদের নিয়ে আলাদা দেশ হলেন বিশ্বের তৃতীয় জনবহুল দেশ হবে
'মিস্টার বিস্টের' সাবস্ক্রাইবারদের নিয়ে আলাদা একটা দেশ গড়া হলে, সেটি বিশ্বের তৃতীয় জনবহুল দেশ হবে। ভারত ও চিনের পর। তৃতীয় স্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার চেয়েও আন্তত সাড়ে ৫ কোটি বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে মিস্টার বিস্টের। সাবস্ক্রাইবার সংখ্যার বিচারে বিশ্বের মধ্যে দুই নম্বরে রয়েছে ভারতের টি-সিরিজ (প্রায় ৩০ কোটি)।
দেখুন ৪০ কোটির কৃতিত্বে ইউ টিউবের কাস্টম প্লে ব্য়াটন পেলেন মিস্টার বিস্ট
400,000,000 Subscriber Play Button! Thank you YouTube ❤️ pic.twitter.com/PNcGRPgTRy
— MrBeast (@MrBeast) July 29, 2025
কীভাবে এই নাটকীয় উত্থান
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৩ বছরের কিশোর মিস্টার বিস্ট 'লেটস প্লে ভিডিও' নামের একটি ভিডিও আপলোড করে ইউ টিউবে ক্রিয়েটার হিসাবে যাত্রা শুরু করেছিল। তবে তার ইউ টিউব চ্যানেল গোটা বিশ্বব্যাপি ভাইরাল হতে সময় লেগেছিল বছর চারেক। "Counting to 100000" নামে একটি ভিডিওর মাধ্যমে ভাইরাল হন, যা তার ক্যারিয়ারের একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মিস্টার বিস্টের ভিডিও মানেই ইউ টিউবের দুনিয়ায় আগুন, হট কেক। ইউ টিউবে তরুণ প্রজন্ম কী দেখতে চায়, মানুষ কোনটা ভালবাসে, চ্য়ানেলের অ্যালগরিদমের মত বিষয় নিয়ে কানসাসের বাসিন্দা মিস্টার বিস্টের চেয়ে আর কেউ ভাল জানে না বলে মনে করা হয়। একজন সাধারণ ইউ টিউব ক্রিয়েটার থেকে জনপ্রিয়তার একটা পর একটা ধাপ পেরিয়ে এভারেস্ট গড়ে মিস্টার বিস্ট এখন এতটাই ধনী যে তিনি মার্কিন মুলকে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে টিকটক কেনার চেষ্টা করছেন। ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মে সিইও হিসাবেও তাঁকে দেখা যেতে পারে।