অ্যাথলেটিক্সকে একটি প্রাথমিক খেলা হিসেবে উন্নীত করার জন্য প্রতি বছর ৭ মে সারা বিশ্বের স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য জায়গায় পালন করা হয় বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এই দিনটি পালন করে আন্তর্জাতিক অ্যামেচার অ্যাথলেটিক ফেডারেশন। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল মানুষকে সুস্থ ও গতিশীল জীবনযাপন করার জন্য উৎসাহিত করা এবং বিশ্ব মঞ্চে অ্যাথলেটিক্সের নতুন প্রতিভা যুক্ত ব্যক্তিদের তুলে ধরা। এই উপলক্ষ্যে সারা বিশ্বে আয়োজন করা হয় ক্রীড়া অনুষ্ঠান।

১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক অ্যামেচার অ্যাথলেটিক ফেডারেশন (IAAF)-এর প্রেসিডেন্ট প্রিমো নেবিওলোর সময় শুরু হয় বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স দিবস। প্রিমো নেবিওলোর লক্ষ্য ছিল অ্যাথলেটিক্সের মূল্যবোধকে প্রচার করা এবং অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য যুবকদের উৎসাহিত করা। বর্তমানে ২০০ টিরও বেশি দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা এবং সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে পালন করা হয় বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স দিবস।

বৈদিক যুগ থেকে চলে আসছে ভারতে অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাস। প্রকৃতপক্ষে, ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের সৃষ্টিকে রূপ দিয়েছিল অথর্ববেদের নীতি। কখন অ্যাথলেটিক্স ভারতে একটি স্বতন্ত্র খেলা হিসেবে নিজের জায়গা করেছিল সেই বিষয়টি রহস্য। তবে রামায়ণ এবং মহাভারতের সময় থেকেই চলে আসছে রথ দৌড়, ধনুর্বিদ্যা, ঘোড়ায় চড়া, কুস্তি, ভারোত্তোলন, সাঁতার এবং শিকার। বৌদ্ধ যুগে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব অর্জন করেছিল যখন প্রচলিত ছিল তীরন্দাজ, ঘোড়ায় চড়া, হাতুড়ি নিক্ষেপ এবং রথ দৌড়ের মতো প্রতিযোগিতা। সেই সময়কালে, ভারতীয় সাম্রাজ্যের সামরিক প্রশিক্ষণে এই সমস্ত খেলাধুলা বাধ্যতামূলক ছিল।