গত বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেওয়া হল না। বুধবার মহিলাদের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হারল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৩৪ রানে অল আউট হয়ে যায় মিতালী রাজের দল। জবাবে ইংল্যান্ড শেষের দিকে পরপর কিছু উইকেট হারালেও ৩১.২ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। মহিলাদের চলতি বিশ্বকাপে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের এটি প্রথম জয়। অন্যদিকে, চারটি ম্যাচ খেলে ভারত দুটি ম্যাচে জিতল, দুটিতে হারল।
পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ খেলে হারালেও, নিউ জিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরেছেন মিতালীরা। নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমসংখ্যাক পয়েন্টে থাকলেও লিগ তালিকায় ভারত(৪ পয়েন্ট) তিন নম্বরে থাকল। রাউন্ড রবীন লিগে ভারতের শেষ তিনটি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া (১৯ মার্চ), বাংলাদেশ (২২ মার্চ), দক্ষিণ আফ্রিকা (২৭ মার্চ) র বিরুদ্ধে। সেমিফাইনালে উঠতে হলে ভারতকে তিনটের মধ্যে দুটিতে জিততেই হবে। লিগ তালিকায় এখন প্রথম দুটি স্থানে- অস্ট্রেলিয়া (৮ পয়েন্ট) ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান ছাড়া বাকি সাতটা দেশ অন্তত একটা জয় পেয়েছে। আরও পড়ুন:
প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে-তে ২৫০ উইকেট শিকার ঝুলন গোস্বামীর
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে স্মৃতি মন্ধনা-হরমনপ্রীত কৌরের জোড়া সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার ৩০০ প্লাস স্কোর করে চমকে দিয়েছে ভারতীয় মহিলা ব্যাটাররা। কিন্তু ব্রিটিশ বোলারদের আগুনে বোলিংয়ে এদিন ঝলসে যান ভারতীয় মহিলারা। অধিনায়িকা মিতালী রাজ (১), যশ্তিকা ভাটিয়া (৮), দীপ্তি শর্মা(০), হরমনপ্রীত কৌর(১৪), স্নেহা রানা (০)-রা পুরোপুরি ব্যর্থ হন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান স্মৃতি মন্ধনা (৩৫)-র। আট নম্বরে নেমে ৩৩ রানের ভাল ইনিংস খেলেন বাংলার রিচা ঘোষ (৩৩)। ঝুলন গোস্বামী দশ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। স্মৃতি, হরমনপ্রীত, রিচা আর ঝুলন-ভারতীয় মহিলা দলের এই চার ব্যাটারই একমাত্র দু অঙ্কের রান করেন। ইংল্যান্ডের স্পিনার চার্লি ডিন চারটি উইকেট নিয়ে ভারতীয় ইনিংসে ধস নামান। ৭১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। রিচা হাল না ধরলে ১০০ রানের গণ্ডি টপকাত না ভারতের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রানেই দলের দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। কিন্তু এরপর ইংল্যান্ডের অধিনায়িকা হেথার নাইট (৫৩ অপরাজিত) দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন। নাইটকে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছিলেন নাট স্কিভার (৪৫)। স্কিভার পর অ্যামি জোন্সের আউটের পর জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংলাইন আপে ধস নামে। ৩ উইকেটে ১০২ থেকে ১২৮ রানে ৬ উইকেট মানে ২৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। তবে ভারতের রানটা খুবই কম থাকায় শেষে জিততে কষ্ট হয়নি ইংল্যান্ডকে।