দিল্লি হোক বা মহারাষ্ট্র, লোকসভা নির্বাচনে এক একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বিজেপির (BJP) সামনে হেরে ভূত হতে হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলিকে। যেখানে ২৪-এর নির্বাচনের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভেবেছিলেন আগামী দিনে যে রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সেখানে উলটপুরাণ হবে, সেই সমস্ত রাজ্যে আপ, কংগ্রেস, এনসিপির মতো দলগুলির চরম দুর্দশা হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬-এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। যে নির্বাচনকে এবার পাখির চোখ করেছে বিজেপি। ২১-এর নির্বাচনে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তবে ২০২৬-এ কিছুটা হলেও চাপে থাকবে তৃণমূল, এমনটা মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দিল্লি নিয়ে চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস

ফলে ২৬-এর নির্বাচনে তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটের শরিক দল অর্থাৎ সিপিএম, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়বে কিনা এটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ দিল্লিতে আপ এককভাবে লড়ার কারণে সরকার হারাতে হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। যদিও এই নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই নিয়ে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen) বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ থেকে একা লড়ছেন না। ২০১৬-তে সিপিএম, কংগ্রেস জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল। এরপর ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সেগুলিতে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস গোপনে জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল। কিন্তু কোনওবারেই তৃণমূলকে হারাতে পারেনি"।

দেখুন দোলার বক্তব্য

২৬-এও একা লড়ার ইঙ্গিত দোলা সেনের

দোলা আরও বলেন, "সিপিএমের ৩৪ বছরের সরকার ভেঙে পড়ার পর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, সব বিধানসভা নির্বাচনেই তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়েছে এবং ভোট শতাংশের হারেও আমরাই এগিয়ে। ফলে এই রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর যে ভরসা করে, তাতে আমাদের প্রয়োজন পড়বে না জোট তৈরি করে লড়ার। ফলে ২০২৬-এও তৃণমূল একাই বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের গোপন জোটের বিরুদ্ধে লড়বে"।