Credits: Twitter or X

মহাকুম্ভ মেলার প্রধান আকর্ষণ নাগা সাধু। সাধারণত নাগা সাধুরা তাদের নিজস্ব রহস্যময় জগতে বাস করে এবং কেবল কুম্ভের সময় দেখা যায় তাদের। এরপরে তাদের দেখা সাধারণত কঠিন। এই কারণেই সকলেই নাগা সাধুর জীবন এবং তাদের সাজসজ্জা সম্পর্কে আগ্রহী। সাধারণত নাগা সাধুদের পোশাক ছাড়াই দেখতে পাওয়া যায়, কেবল রুদ্রাক্ষের মালা পরে দেখতে পাওয়া যায় তাদের। নাগা সাধুরা বেশিরভাগ সময় নগ্ন থাকেন। নাগা সাধুদের শরীরে থাকে ভস্ম এবং রুদ্রাক্ষ। নাগা সাধুদের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করে রুদ্রাক্ষ।

কোটি কোটি মানুষ মহাকুম্ভে আসেন, এমন পরিস্থিতিতে নেতিবাচক শক্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য, নাগা সাধুরা সর্বদা পরে থাকেন রুদ্রাক্ষের মালা। এছাড়া সাধুর সাধনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রুদ্রাক্ষ মালা। এই রুদ্রাক্ষের অনন্য চৌম্বকীয় এবং শক্তি ভারসাম্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা নাগা সাধুদের এই পবিত্র সময়ে তাদের ভক্তি এবং তপস্যায় আরও গভীর করতে সাহায্য করে। নাগা সাধুর উপাসকের মূর্তি হলেন ভগবান শিব এবং রুদ্রাক্ষ হল মহাদেবের এক ঐশ্বরিক আশীর্বাদ। পুরাণে বর্ণিত আছে যে রুদ্র অর্থাৎ শিবের অশ্রু থেকে উদ্ভূত হয়েছিল রুদ্রাক্ষ।

কথিত আছে যে, শিব হাজার হাজার বছর ধরে চোখ বন্ধ করে ধ্যানে বসেছিলেন। এরপর যখন তিনি চোখ খোলেন, তখন তাঁর চোখ থেকে আনন্দের অশ্রু ঝরতে থাকে, যা মাটিতে পড়ে পবিত্র রুদ্রাক্ষে পরিণত হয়। এই মুক্তগুলো জগতের জন্য শিবের উপহার। রুদ্রাক্ষ মালা পরার রয়েছে অনেক উপকারিতা। সাধারণত উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, অনিদ্রা এই সবই মনের অত্যধিক চিন্তার কারণে হয় এবং বিশ্বাস করা হয় যে রুদ্রাক্ষ মালা পরা বা জপমালা জপ করলে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়, মানসিক ও শারীরিক কষ্টও দূর হয়।