বর্তমান যুগের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২৫ সালের গ্রীষ্মে একমাত্র টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ড সফরে গেলে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেটে আয়োজক বোর্ড 'ট্যুরিং ফি' দেবে। শুক্রবার এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনের খেলা চলাকালীন স্কাই স্পোর্টসে এক আড্ডায় ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোল্ডই গত বছর ফাইনাল ওয়ার্ল্ড পডকাস্টে কথা বলার সময় মূলত এই পরামর্শটি দিয়েছিলেন যে বিভিন্ন পূর্ণ সদস্য দেশের অর্জিত রাজস্বের বৈষম্য দূর করতে এবং টেস্ট ক্রিকেটের মান নিশ্চিত করার জন্য, একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তারপর থেকে, গোল্ড এই সপ্তাহে দু'বার সহ একটি সমাধান সুপারিশ করেছেন এবং পুনরাবৃত্তি করেছেন, তা হ'ল আয়োজক বোর্ডকে ভ্রমণকারী দলগুলিকে ফি প্রদান করা। স্কাই স্পোর্টসে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক আথারটনকে গোল্ড বলেন, 'এটা অনেক বড় দায়িত্ব।' ENG vs WI 3rd Test, Day 2 Live Streaming: ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তৃতীয় টেস্ট দ্বিতীয় দিন, সরাসরি দেখবেন যেখানে
Zimbabwe will become the first country in the modern era to be paid a "touring fee" by the host board in bilateral cricket when they travel to England for a one-off Test in 2025 https://t.co/CTnE7tbOUb pic.twitter.com/eSB7g3CZZm
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) July 27, 2024
তিনি আরও বলেন, 'আপনি যখন আইসিসির রাজস্ব ভাগ বা দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের ভাগ দেখেন, যা সত্যিকার অর্থে যেভাবে বিতরণ করা হয় তা মোটামুটি পুরানো ধাঁচের। যেমন আগামী বছর জিম্বাবয়ে ইংল্যান্ড সফরে আসছে। সাধারনত ব্যাপারটা এরকমই হয় যে ট্যুর টিম নিজেরাই দেশে আসে এবং তারপর থাকার জায়গার দিক থেকে তার দেখাশোনা করা হয়, বাকি সবকিছু। কিন্তু যে দল সফর করছে তাদের জন্য কোনো ফি নেই। আগামী বছর যখন আমরা জিম্বাবয়ের বিপক্ষে খেলব, তখন সফরকারী দলের জন্য একটা ফি দিতে হবে।'
ক্রিকেট খেলা ছোট দেশগুলিতে সম্প্রচার স্বত্বের মূল্য বিশেষত দীর্ঘতম ফর্ম্যাটের জন্য নগণ্য হয়ে উঠেছে, টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখার ক্রমবর্ধমান ব্যয় নিয়ে সিডব্লিউআইয়ের সিইও জনি গ্রেভ জানান যে আইসিসির রাজস্ব-ভাগ মডেলটি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সম্প্রতি এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কানেক্টস সিম্পোজিয়ামে ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন লং রুমে সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বোর্ডের বার্ষিক আয়ের মাত্র ৪ শতাংশ আসে আইসিসির রাজস্ব বণ্টন থেকে, যার সিংহভাগই আসে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেটের সম্প্রচার স্বত্ব থেকে। ফলস্বরূপ, ইসিবির জন্য পুরুষ এবং মহিলা উভয় ফরম্যাটের খেলোয়াড়দের জন্য ক্রিকেটের স্তর শক্তিশালী হওয়া নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই টেস্ট ক্রিকেটের পিরামিড মজবুত রাখতে অবদান রাখতে হবে ইসিবিকে।