Hardik Pandya (Photo Credit: BCCI/ X)

হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) বোলিং ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগের কারণেই বিসিসিআই কর্মকর্তারা মনে করেন না যে এই অলরাউন্ডার ওয়ানডেতে ১০ ওভার বল করার জন্য ফিট। ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন ৫০ ওভারের সিরিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, যার ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন। এর অর্থ ২০২৫ সালে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দলে ঢুকতে তিনি মাত্র তিনটি ওয়ানডের সুযোগ পাবেন। বিসিসিআই কর্মকর্তারা টি-টোয়েন্টিতে তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হলেও চোট থেকে ফিরে আসার পর থেকে তিনি দীর্ঘ ফর্ম্যাটে খেলেননি এবং তিনি প্রস্তুত কিনা সেই পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে, আসন্ন বিজয় হাজারে ট্রফিতে গুজরাতে জন্মগ্রহণকারী এই ক্রিকেটারকে দেখা যাবে। ভালো করলে ভবিষ্যতে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বিবেচনা করা হবে হার্দিককে। Kaif on Hardik's Captaincy: টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব হার্দিকের 'অধিকার', পান্ডিয়ার পাশে দাঁড়ালেন মহম্মদ কাইফ

টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এক সূত্র জানান, 'চোট কাটিয়ে ফেরার পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র চার ওভার বোলিং করে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও হার্দিককে দীর্ঘ ফর্ম্যাটে পরীক্ষা করা হয়নি। বছরের শেষে বিজয় হাজারে ট্রফিতে তিনি কেমন করেন, সেদিকে নজর রাখবেন নির্বাচকরা।' হার্দিক আর কোনও ফর্ম্যাটে সরাসরি জায়গা করতে পারবেন না। প্রাপ্যতা নিয়ে তাঁর অনিশ্চয়তা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্বের ক্ষতি করেছে এবং যদি ক্রিকেটার ফিটনেসের দিক থেকে তিনি উন্নতি করতে ব্যর্থ হন, বিশেষত দীর্ঘ ফর্ম্যাটে সেটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সূত্রটি আরও জানান যে, 'হার্দিকের ব্যাটিং আগের মতো বিস্ফোরক নয়। তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল খেলেছেন তবে তার আসল মূল্য তখন যদি তিনি ভাল বোলিং করেন এবং তার ওভারের কোটা শেষ করেন। গত বছর বিশ্বকাপে চোট পড়ায় সময় তাঁর শেষ ওয়ানডে খেলেছেন। অর্থাৎ এক বছরের বেশি সময় ওয়ানডে খেলতে পারবেন না তিনি।'