Tamim Iqbal (Photo Credit: Pakistan Cricket/ Twitter)

এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল ও বিসিবিকে আরও পরিষ্কার করতে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর প্রত্যাহারের এক মাসেরও কম সময় পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিম। গত ৬ জুলাই তামিম অবসরে গেলেও পরদিন বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে অনুরোধ করেন। তামিম জানান, বৃহস্পতিবার অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান। এরপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে হাসানের বাড়িতে দীর্ঘ আলোচনা হয়। Tamim Iqbal: পিঠে চোটের জের, এশিয়া কাপ থেকে বাদ বাংলদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল

তামিম বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি চোটের একটা সমস্যা। আমি একটি ইনজেকশন নিয়েছিলাম [২৮শে জুলাই]। আমি তাদের (বোর্ডকে) সমস্যার কথা জানিয়েছি। আমি সব সময় দলকে সাহায্য করেছি। তাই সেই কথা মাথায় রেখেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোই সেরা সিদ্ধান্ত। সুযোগ পেলেই খেলোয়াড় হিসেবে সেরাটা দিতে চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।' নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও আশার আলো দেখছেন তামিম। তিনি বলেন, 'ইঞ্জেকশনের 'হিট-অর-মিস' পরিস্থিতি যাতে প্রশমিত করা যায়, সে জন্যই আমরা এই পরিকল্পনা করেছিলাম। নিউজিল্যান্ড সিরিজ সেরা ফর্মে খেলতে চাই। এশিয়া কাপের জন্য আমরা তাড়াহুড়ো করতে পারতাম, কিন্তু আমরা এর বিরুদ্ধে খেলতে চাইছি। আমি খুব আশাবাদী যে বিশ্বকাপের জন্য আমাকে পাওয়া যাবে।'

সেই পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়াটা 'স্বার্থহীন' অপশন বলে মনে করেন তামিম। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয়, অধিনায়কত্বের সফরটা দারুণ হয়েছে। ফলাফল নিজেই বলছে। আমি পাপন ভাইকে (হাসান) বলেছিলাম, আমি যদি অধিনায়ক হিসেবে থাকতাম, তাহলে আমার খুব স্বার্থপরতা হতো। আমাকে যে-ই চিনুক না কেন, জানে আমি নিজের চেয়ে দলকে এগিয়ে রেখেছি।'

এই বিষয়ে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, 'ঢাকা, ভারত, ব্যাংকক ও লন্ডনে স্ক্যান করেছেন তামিম। এই প্রথম, লন্ডন থেকে আমি এমন একটা রিপোর্ট দেখলাম, যাতে দেখা গেছে তার সমস্যা আছে। চার-পাঁচ দিন আগে চোটের কথা শুনেছি। ওর রিপোর্ট দেখে আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলাম। এ বিষয়ে আমাদের আরও তদন্ত করতে হবে। আশা করি, এমন ঘটনা আর ঘটবে না। অবশ্যই গাফিলতি ছিল। এটা এতদূর আসা উচিত হয়নি।'