![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2023/09/68-14-380x214.jpg)
বিশ্বকাপের আগে পুরো দল নিয়ে দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছে পাকিস্তান। কারণ শুক্রবারের মতো ভারত সফরের জন্য এখনও ভিসার অপেক্ষায় ছিল তাঁরা। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হায়দরাবাদে আসার কথা পাকিস্তানের। তবে পাকিস্তান এখন পরিকল্পনা করছে আগামী বুধবার সকালে লাহোর থেকে দুবাই উড়ে গিয়ে সেখান থেকে হায়দরাবাদে উড়ে যাবে। যদিও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, তবে পাকিস্তান সফরের জন্য ভিসা যে নির্দিষ্ট সময়েই আসবে, তা নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিসার জন্য আবেদনটি এক সপ্তাহ আগে করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ESPNcricinfo-এর খবর অনুসারে, বিশ্বকাপের জন্য ভারতে আসা নয়টি দলের মধ্যে পাকিস্তানই একমাত্র দল, যারা এখনও ভিসার অপেক্ষায় রয়েছে। এই বিলম্বটি সেই জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পটভূমিকে তুলে ধরেছে। উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য উভয় দেশের মধ্যে ভ্রমণ অত্যন্ত সীমিত কারণ ভিসা পাওয়া একটি কঠিন এবং প্রায়শই ফলহীন প্রক্রিয়া। ICC T20 World Cup 2024 Venues: আগামী টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত দেশ, তালিকায় নেই জ্যামাইকা
🚨Pakistan cancel their pre-World Cup team-bonding trip to Dubai as the team was still awaiting visas to travel to India as on Friday (yesterday)
👉 https://t.co/e3yjj1Cw2P | #CWC23 pic.twitter.com/cx1r4jjKJY
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) September 23, 2023
ক্রিকেটের জন্য সীমানা পার হওয়াও এখন বিরল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১২-১৩ সালে সাদা বলের সিরিজ খেলতে ভারতে আসার পর থেকে দু'দলের কেউই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে অন্য দেশে যায়নি। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বই হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ধারাবাহিক, প্রায়শই তীক্ষ্ণ, অবনতির মধ্যে এই সফরটি নিজেই একটি বহির্মুখী দিক। গত দশ বছরে একবার ভারত সফরে এসেছে পাকিস্তান। কিন্তু সেটা ২০১৬ সালের মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। পাকিস্তানের বর্তমান স্কোয়াড থেকে এর আগে মাত্র দুজন ক্রিকেটার ভারতে ক্রিকেট খেলতে এসেছেন। তারা হলেন ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের স্কোয়াডে থাকা মহম্মদ নওয়াজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে লাহোর লায়ন্সের স্কোয়াডে থাকা আগা সালমান।
এই ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাদের অংশগ্রহণ এরই মধ্যে সাম্প্রতিক এশিয়া কাপকে কেন্দ্র করে উৎকণ্ঠার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান এই প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক আয়োজক ছিল, কিন্তু তাদের দেশে মাত্র চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের দল পাকিস্তান সফরের ছাড়পত্র দেয়নি। ফলস্বরূপ, টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ অংশই তৎকালীন পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি দ্বারা পরিকল্পিত একটি হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কায় খেলা হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে আলোচনার এক পর্যায়ে পিসিবি বিশ্বকাপের জন্য একই ধরনের হাইব্রিড মডেলের ধারণা দেয়, যাতে পাকিস্তান তাদের ম্যাচ ভারতের বাইরে, সম্ভবত বাংলাদেশে খেলবে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারত পাকিস্তানে যাবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে তবে শেষ পর্যন্ত আগস্টে পাকিস্তান সরকার ভারত সফরে যাওয়ার জন্য দলকে ছাড়পত্র দেয়।