গাভস্কার ও তেন্ডুলকর (Photo Credits: Twitter)

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ওপেনার সুনীল গাভাস্কারের (Sunil Gavaskar) ৭১-তম জন্মদিনে টুইটারে অরিজিনাস লিটল মাস্টারকে শুভেচ্ছা জানালেন শচিন তেন্ডুলকর। তিনি গাভাস্কারকে আদর্শ মানেন। এবং আগামী দিনগুলি ভাল কাটুক তেমনই শুভকামনা জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের দিনটিও মনে করেন তিনি। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ীর সঙ্গে প্রথম দেখা হবে, এনিয়ে কতই না উৎসাহ ছিল শচিনের। দারুণ রোমাঞ্চকর ব্যাপার ছিল প্রথম আলাপের দিনটি। যখন ২২ গজে পা রাখলেন তখন গাভাস্কারকে অনুসরণের চেষ্টা করতেন প্রতি মুহূর্তে। এমনকী, ক্রিকেটের ময়দানে গাভাস্কারের হিরোইজমকে ধরতে চেয়েছিলেন শচিন। যাইহোক জাতীয় ক্রিকেট থেকে গাভাস্কার যখন অবসর নিলেন তারপর শচিন তাঁর লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছিলেন।

যাইহোক, গাভাস্কার পরবর্তী ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং লাইনআপে শচিন ছিলেন অন্যতম। আজ বার্থডে বয়ের সঙ্গে তোলা এমনই এক মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে শচিন লিখলেন, “১৯৮৭ সালে প্রথম আমার আদর্শ গাভাস্কার স্যারের সাক্ষাৎ পেলাম। ১৩ বছর বয়সের সেই সাক্ষাৎকারে আমি ভাবতেও পারিনি যে কোনওদিনই এই মানুষটির সঙ্গে কথা বলার সুয়োগ পাব, যাঁকে আমি সবসময় অনুসরণ করে এসেছি। কী দিন ছিল। হার্ট শেপের চোখ আর হাসিখুশি একটি মুখ। স্যার আপনার ৭১-তম জন্মদিনে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সুস্থা ও এবং নিরাপদে কাটুক গোটা বছর।”

তেন্ডুলকর ও গাভাস্কারের ব্যাটিং স্টাইল একই। তাঁরা দুজনেই ২২ গজে খেলে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রচুর স্মরণীয় মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন। দুঃখের বিষয় দুই মুম্বইকর কখনওই এক সঙ্গে ২২ গজে খেলার সুযোগ পাননি। ১৯৮৭-তে ভারতীয় ক্রিকেট থেকে অবসর নেন সুনীল গাভাস্কার। ১৯৮৯-তে ভারতীয় ক্রিকেটে শচিন তেন্ডুলকরের অভিষেক হয়। যদিও ভারত যখন ২০১১-তে বিশ্বকাপ জিতল তখন তেন্ডুলকার গাভাস্কারের সাফল্য় হিসেবেই সেই জয়কে দেখেছেন। কেননা তাঁরই পরম্পরা উত্তরাধিকার সূত্রে যেন বয়ে চলেছেন শচিন। কেননা এখনও পর্যন্ত একমাত্র শচিনই গাভাস্কারের টেস্ট সেঞ্চুরি রেকর্ড ভাঙতে পেরেছেন।