IND vs PAK (Photo Credit: Cricket Pakistan/ X)

Afro-Asia Cup to Return? তারকাখচিত আফ্রো-এশিয়া কাপ (Afro-Asia Cup) ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২০০৫ এবং ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশিয়া কাপে দুটি দল ছিল, উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত এশিয়া একাদশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবয়ে, কেনিয়া এবং প্রতিবেশী দেশগুলির খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া আফ্রিকার একাদশ। দুটি সফল আসরের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনার কারণে আর ফিরতে পারেনি টুর্নামেন্টটি। ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে, ভারত ও পাকিস্তান ২০১২ সালে কেবল শেষ একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে। তবে ডিসেম্বরে জয় শাহ আইসিসির নতুন সভাপতি হওয়ার সাথে সাথে টুর্নামেন্টটি পুনরায় চালু করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। শেষবার ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলা আফ্রো-এশিয়া কাপ এবার টি-টোয়েন্টিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। Latest ICC Test Rankings: আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা পাঁচে রোহিত শর্মা, ওপরে উঠলেন বিরাট কোহলিও

প্রস্তাবটি যদি বাস্তবায়িত হয়, সম্ভবত ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা একত্রিত হবেন। বিরাট কোহলি, বাবর আজম, জসপ্রীত বুমরাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, রোহিত শর্মা, মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে আফগানিস্তানের রাশিদ খান, শ্রীলঙ্কার ও এক সঙ্গে খেলতে পারে যা এই প্রজন্মের জন্য প্রথমবার হবে। ২১ বছর আগে ২০০৫ সালে যখন প্রথম আফ্রো-এশিয়া কাপ হয়েছিল তখন এশিয়া একাদশে ছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, শাহীদ আফ্রিদি, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, ইনজামাম-উল-হক, আশিস নেহরা, জহির খান ও শোয়েব আখতার। দুই বছর পর ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে ৪টি ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৯ রানের ইনিংস খেলেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রো-এশিয়া কাপ নিয়ে দুই বছর ধরে চিন্তা চলছে এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতও ছিল সবাই। ফিরতি টুর্নামেন্টটি ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হতে পারত কিন্তু এসিএর অভ্যন্তরীণ অশান্তির কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন যদি এটি আসে তবে বিশ্ব ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মাঠে দেখা এক অনন্য ঘটনা হবে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার সাথে সাথে ভারত ও পাকিস্তান কেবল আইসিসি টুর্নামেন্ট এবং এশিয়া কাপে একে অপরের মুখোমুখি হয়।

একনজরে কি হতে এশিয়ার একাদশঃ যশস্বী জয়সওয়াল (ভারত), বাবর আজম (পাকিস্তান/অধিনায়ক), সূর্যকুমার যাদব (ভারত), মহম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান/ উইকেটরক্ষক), পাথুম নিসাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা), হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত), ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), রাশিদ খান (আফগানিস্তান), শাহিন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান), জসপ্রীত বুমরাহ (ভারত), মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)।