Mohammed Shami. (Photo Credits: BCCI)

ইন্দোর, ১৬ নভেম্বর: রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল বাংলা। ইন্দোরে ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রজত পতিদার, শুভম শর্মাদের ১১ রানে হারিয়ে নক আউটে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল অনুষ্টুপ মজুমদারের দল। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৯২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলার জয়ে নায়ক শাহবাজ আহমেদ। ম্যাচের শেষ উইকেটটি তুলে নায়ক এক বছর পর মাঠে  এদিন ষষ্ঠ উইকেটে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শুভম শর্মা-র ৯৪ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপ, তারপর অষ্টম উইকেটে আরিয়ান পান্ডে ও সারানাস জৈনের ৬২ রানের জুটিতে ভর করে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। কিন্তু শেষ অবধি মহম্মদ শামি-শাহবাজ আহমেদ-রা অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে বাংলাকে ৬ পয়েন্ট এনে দিলেন। মধ্যপ্রদেশের নবম উইকেটের পতন হয় ৩২৪ রান। শেষ উইকেটে জিততে হলে মধ্যপ্রদেশকে করতে হত ১৪ রান। কুমার কার্কিয়ে সিং (৬)-কে শামি আউট করে দলকে জেতান। ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৫৩)-র উইকেট তুলে বাংলাকে জয়ের স্বপ্ন দেখান রোহিত কুমার। শুভম (৬১)-কে আউট করেন শাহবাজ। আরিয়ান ও সারানাশের বিপজ্জনক জুটিও শাহবাজ ভাঙেন। তার আগে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচ হেরে যাবে।

প্রথম ইনিংসে বাংলার লিড ছিল ৬১ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা করেছিল ২৭৬ রান। জিততে হলে মধ্যপ্রদেশকে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৩৩৮ রান করতে হত। এদিন ১৫০ রানে ৩ উইকেট থেকে খেলতে নেমে শুরুতেই অনুভব আগরওয়াল (২)-কে এলবি করে প্যাভিলিয়নে ফেরান সামি। এরপর মধ্যপ্রদেশের ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ রজত পাতিদার-কে (৩২) বোল্ড করে দেন সামি। ১৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মধ্যপ্রদেশ একেবারে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু সেখান থেকে ভেঙ্কটেশ আইয়ার-শুভম শর্মা

দুরন্ত ব্যাটিং করে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। প্রায় এক বছর পর মাঠে নেমে সামি মোট ৭ উইকেট নিলেন। সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ নম্বরে নেমে তাঁর ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস জয়-পরাজয়ে বড় ভূমিকা নিল।

গ্রুপ সি-তে বাংলার শেষ দুটি ম্যাচ হরিয়ানা (২৩ জানুয়ারি) ও পঞ্জাব (৩০ জানুয়ারি) ইডেন গার্ডেন্সে। নক আউটে উঠতে হলে ঘরের মাঠে দুটি ম্যাচই অনুষ্টুপ মজুমদারদের জিততে হবে। ৫ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় ৭ নম্বরে আছে বাংলা। অক্টোবরে দানা দুর্যোগের মাঝে ঘরের মাঠ কল্যানীতে বিহার ও কেরল ম্যাচ পুরোপুরি ভেস্তে যাওয়ায় পয়েন্ট তালিকায় বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বাংলার। চলতি মরসুমে বাংলা রঞ্জিতে মোট ৫টি ম্যাচ খেলে একটি-তে জয়ী, একটি-তে (ইউপি-র বিরুদ্ধে) প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ড্র, একটি-তে (কর্ণাটকের বিরদ্ধে) প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকে ড্র ও দুটি ম্যাচে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় দুই পয়েন্ট করে পেয়েছে। হরিয়ানা ও কেরল এখন গ্রুপে প্রথম দুটি স্থানে রয়েছে।