প্রতি বছর ২১ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব হ্যালো দিবস। হ্যালো শব্দটি বিরোধের অবসান ঘটাতে এবং বলপ্রয়োগ বা সহিংসতা ছাড়াই কথোপকথন শুরু করার জন্য অভিবাদন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্ব হ্যালো দিবস মনে করিয়ে দেয় যে যদি কোনও দ্বন্দ্ব বা বিরোধ সমাধানের চেষ্টা করার জন্য যোগাযোগই একমাত্র উপায়। ১৯৭৩ সালের ২১ নভেম্বর প্রথমবার পালন করা হয় বিশ্ব হ্যালো দিবস। 'হোলা' শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে হ্যালো, যা প্রাচীন জার্মান ভাষার একটি শব্দ এবং শুভেচ্ছা জানানোর একটি উপায়।

হোলা শব্দটি জার্মানির মাধ্যমে ব্রিটেনে পৌঁছে ছিল এবং এখানে ব্রিটিশরা এই শব্দটিকে টুইস্ট করে 'হ্যালো'তে পরিণত করে। ১৮৩৩ সালে, আমেরিকায় কর্নেল ডেভিড ক্রকেটের দ্য স্কেচস অ্যান্ড এক্সেনট্রিসিটিস নামে একটি বইতে ব্যবহার করা হয়েছিল হ্যালো শব্দটি। একই বছর লন্ডন লিটারারি গেজেটেও ব্যবহৃত হয়েছিল এই শব্দটি। ধীরে ধীরে এই শব্দটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে শুরু করে এবং ১৮৬০ সাল নাগাদ বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই শব্দটি। বর্তমান যুগে প্রায়শই কথ্য ভাষায় হ্যালো শব্দটি ব্যবহার করে মানুষ। হ্যালো শব্দটি প্রথম টেলিফোনে চালু করেন টমাস আলভা এডিসন, তারপর সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই শব্দটি।

১৯৭৩ সালের ২১ নভেম্বর প্রথমবার পালন করা হয়েছিল বিশ্ব হ্যালো দিবস, যা এখন ১৮০ টিরও বেশি দেশে পালন করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, ১৯৭৩ সালে ইসরায়েল এবং মিশরের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ব্যবহৃত শব্দটি ছিল হ্যালো। বিশ্বে শান্তি ও বন্ধুত্ব ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পালন করা শুরু হয় বিশ্ব হ্যালো দিবস। মানুষকে তাদের সংস্কৃতির তথ্য একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে, সামাজিকীকরণ এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করে এই দিনটি।

যেকোনও ব্যক্তির জীবনের জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার বার্তা দেয় বিশ্ব হ্যালো দিবস। অহংকার, লাজুকতা, শ্রেষ্ঠত্ব, হীনমন্যতার মতো অনেক কিছু মানুষকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধা দেয়, অন্যদিকে হ্যালো শব্দটি অভিবাদন জানাতে সাহায্য করার পাশাপাশি কথোপকথনের শুরুকে মসৃণ করে তোলে। বিশ্ব হ্যালো দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হল মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিকাশের একটি প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা, যা দৈনন্দিন জীবনে পারস্পরিক যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে।