চন্ডীগড়, ১০ ডিসেম্বর: চন্ডীগড় বিমানবন্দরে (Chandigarh Airport) যাওয়ার পথে ভারত বনধের (Bharat Bandh) জেরে আটকে পড়েন বিমানসংস্থা ইন্ডিগোতে (Indigo) কর্মরত বিমান চালক এবং সেবিকারা। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর সব উপায় যখন একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন গ্রামেরই কৃষকেরা। ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকেরা। তাই গাড়ি আসার উপায় নেই। সেই কারণে গ্রামের ভাঙাচোরা মেঠো রাস্তা দিয়ে ইন্ডিগোর সকল কর্মীদের হাইওয়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন কৃষকেরা। যেখানে বিমান চালক এবং সেবিকাদের নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল বিমানসংস্থার গাড়ি।
বিমানের প্রধান ক্রু সদস্য এই গোটা ঘটনাটি ভিডিও করেন। সেই ভিডিওটিই তিনি পোস্ট করেন টুইটারে। তিনি লেখেন, "চন্ডীগড় বিমানবন্দরে ডিউটি ছিল আমাদের। কিন্তু ভারত বনধের জন্য সমস্ত রাস্তা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। আমাদের অসহায় অবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন গ্রামের কিছু কৃষক বন্ধু। তারাই গ্রামের ভিতর দিয়ে রাস্তা চিনিয়ে আমাদের নিয়ে আসে। বেশ কিছু ভুল রাস্তাতেও আমরা চলে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তারাই আমাদের সমস্যার সমাধান করেন।"
Take a bow, @IndiGo6E. This layover crew ex-IXC Chandigarh has SOUL ❤️ pic.twitter.com/rWzRjAIZu4
— Kaypius (@realkaypius) December 9, 2020
বেশ কিছুটা রাস্তা গ্রামের মধ্যে দিয়ে আসার পরই হাইওয়েতে পায়ে হেঁটে পৌঁছন তাঁরা। বিমানের প্রধান ওই সদস্য লিখেছেন, "বিমানবন্দরের ম্যানেজারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছিলাম। তারাই আমাদেরকে আনার জন্য হাইওয়েতে গাড়ির বন্দোবস্ত করে। যাই হোক, একটাই কথা বলতে চাই, ওরা খুব ভাল মানুষ। আমাদের সঙ্গে ওরা একবারের জন্য খারাপ ব্যবহার করেননি, এমনকী হুমকিও দেননি।" গত ২৬ নভেম্বর থেকে কৃষি সংক্রান্ত 'কালা আইন' প্রত্যাহারের প্রতিবাদে দিল্লি সীমান্তে প্রতিবাদ চালাচ্ছেন কৃষকেরা। কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা।