Gwada Negative Blood: এবার থেকে দুনিয়ার ব্লাড ব্যাঙ্কে সরকারিভাবে যোগ হয়েছে আরও একটি নতুন শ্রেণীর রক্ত। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের গুয়াদেলপে বসবাসকারী এক মহিলার দেহে নতুন যে ব্লাড গ্রুপের সন্ধান মিলল, তার নাম রাখা হল "গোয়াদা নেগেটিভ" ( "Gwada Negative")। দুনিয়ার মধ্য়ে তিনিই এখনও একমাত্র এই রক্তের শ্রেণীর ধারক। দুনিয়ার এটি ৪৮তম ব্লাড টাইপ হিসেবে নথিভুক্ত হল। মানুষের রক্তকে শুধুমাত্র ABO ও Rh (যেমন A+, O-) দিয়ে নয়, আরও নিখুঁতভাবে ৪৫টিরও বেশি রক্তের টাইপে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। সেই রক্তের শ্রেণী সংখ্যাই বেড়ে হল ৪৭।

১৫ বছর আগে এসেছিল এই রক্তের নমুনা

১৫ বছর এক অপরাশেনের আগে রুটিনমাফিক রক্ত পরীক্ষার সময় সেই ফরাসি মহিলার মহিলার রক্তের নমুনা দেখে সন্দেহ হয়েছিল ডাক্তারদের। তারা বুঝতে পেরেছিলেন, এই রক্তের প্রকৃতি ও ধরণ অনেকটাই আলাদা। এরপর ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্লাড টেস্টিং ল্যাবে ডিএনএ সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে গভীর গবেষণার পর স্থির হল, এটি নতুন এক রক্তের প্রকৃতি। ২০১১ সালে থেরি পেইরাড নামের এক মেডিক্যাল বায়োলোজিস্ট এই নতুন ধরনের ব্লাড টাইপ আবিষ্কার করলেন। যে মহিলার এই রক্তের নমুনা এটি, তাঁর বয়স এখন প্রায় ৭০।

দেখুন খবরটি

রক্তের শ্রেণীভেদ

১৯০০ সালে ABO রক্তের গ্রুপ সিস্টেম প্রথম আবিষ্কৃত হয়। যেখানে রক্তের গ্রুপ নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে। ডিএনএ সিকোয়েন্সিংয়ের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন রক্তের গ্রুপ আবিষ্কারের গতি অনেকটাই বেড়েছে। ABO সিস্টেম রক্ত স্থানান্তরের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞানীরা প্রধানত ৩০টির বেশি রক্ত গ্রুপ সিস্টেম (যেমন: ABO, Rh, Kell, Duffy, Kidd, MNS ইত্যাদি) এবং ৪৫-৫০টি ভিন্ন ভিন্ন রক্তের টাইপ চিহ্নিত করেছেন, যা বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।