পাঁচতলা থেকে পড়ছে ছেলে ঝাঁপিয়ে প্রাণ বাঁচালেন মা, (দেখুন ভিডিও)
ছেলের পা টেনে ধরেছেন মা (Photo Credit: Youtube)

মায়ের কাছে সন্তানের থেকে প্রিয় আর কিছু নেই, হয়ও না। তাই সন্তানের বিপদে সবার আগে মাকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়। এমনই ঝাঁপিয়ে পড়ে সন্তানের প্রাণ রক্ষা করলেন মা। বহুতলের রেলিং গলে নিচে পড়ে যাচ্ছিল একরত্তি, ঝাঁপিয়ে পড়ে শিশু সন্তানের পা টেনে ধরেন মা। প্রত্যক্ষদর্শীরা ছুটে আসতে না আসতেই রেলিংয়ের পাঁক গলে বাচ্চাকে কোলে টেনে নেন তরুণী মা। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কলম্বিয়ার (Colombia) মেডেলিন (Medellin)-এ। এদিকে ইতিমধ্যেই মায়ের কৃতিত্বের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই বাইরাল হয়েছে। গোটা ঘটনায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। আরও পড়ুন-বহুতল থেকে পড়ন্ত শিশুকন্যাকে লুফে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো এই যুবক, চেনেন নাকি?

জানা গিয়েছে মেডেলিন-এর ওই বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় মায়ের হাত ধরে গিয়েছিল একরত্তি ছেলে। লিফট থেকে বেরনো পর্যন্ত সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু লিফট থেকে বেরনোর পরেই ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাচ্চাটির মা। হঠাৎ করে পাশের রেলিংয়ের কাছে গিয়ে কিছু একটা দেখতে যায় বাচ্চাটি। মুহূর্তেই এই বিপদ। রেলিংয়ের ফাঁক গলে বাচ্চাকে পড়ে যেতে দেখে মুহূর্তের মধ্যে ঝাঁপ দিয়ে তার পা ধরে ফেলেন মা। সেই অবস্থাতেও কিন্তু নিজের মোবাইল ফোনটি সাবধানে পাশে রাখেন ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত বাকিরাও ছুটে আসে। কিন্তু কারও সাহায্য করার আগেই বাচ্চাটিকে টেনে তোলে তার মা।পুরো ঘটনাটি সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়ে যায়। সেখানে দেখা যায়, আশেপাশের সবাই ছুটে এসে হাততালি দিচ্ছেন। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সবাই প্রশংসা করা শুরু করেন মায়ের। কেউ বলেন, ‘সত্যি এটা বোধহয় মা’ই পারে। এই সাহসী মহিলাকে কুর্নিশ জানাই।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘ম্যাচের সেরা ক্যাচের পুরস্কার দেওয়া উচিত ওই মহিলাকে।’

এই ঘটনার পর বিল্ডিংয়ের ম্যানেজার জুয়ান ফ্রাঙ্কো জানিয়েছেন, “ভাগ্য ভালো, ছেলেটির কিছু হয়নি। তার কোনও রকমের চোট হয়নি। তবে এই বিষয়ে পুরো কৃতিত্ব প্রাপ্য ওর মায়ের। যেভাবে ও ছেলেকে রক্ষা করলো, ভাবা যায় না।” অবশ্য শুধু কথা নয়, এরপর ওই বিল্ডিংয়ের প্রতিটি রেলিংয়ে কার্ডবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরণের কোনও ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা, জানিয়েছে বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ।