ক্যারাটে নাকি ছুটে এসে মুখে লাথি, পালাতে গিয়ে কী করল এই শিম্পাঞ্জি? (দেখুন ভিডিও)
শিম্পাঞ্জির খেল(Photo Credit: Youtube)

শিম্পাঞ্জিরাও (chimpanzee)আজকাল ক্যারাটের প্যাঁচ কষছে, এই খবর শুনে হেসে গড়াগড়ি খেতে যাবেন না। বলা তো যায় না ক্যারাটেবিদ শিম্পাঞ্জি এসে যদি মোক্ষম প্যাঁচ কষে তাহলে বিপদ বা়বে বই কমবে না। না না কোনও গল্পকথা শোনাচ্ছি না, চিনের হেফেই ওয়াইল্ড লাইফ পার্কে এমনটাই ঘটেছে। তাই শিম্পাঞ্জি কি ক্যারাটে জানে? বা কুস্তির প্যাঁচ-পয়জার? অথবা জুডো কিংবা কুংফু? এসব নিয়ে বেশি কৌতূহল না দেখিয়ে ভিডিওটি দেখে ফেলুন। হেফেই-এর শিম্পাঞ্জি ইয়াং ইয়াং কি খেল দেখাচ্ছে।কিছুদিন আগেই ইয়াং ইয়াং-এর কীর্তি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল শেয়ার করেছিলেন বিশিষ্ট প্রাণী সংরক্ষণবিদ মাইক হস্টন। আরো পড়ুন- মুম্বই থেকে শিক্ষা, বেঙ্গালুরুর রাজপথে একাই ম্যানহোল বন্ধ করছেন এই পুলিশকর্মী

সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় স্ট্যান্টবাজি করছে ইয়াং ইয়াং (Yang Yang) নামের ওই খুদে শিম্পাঞ্জি। তবে এসব করার আগে ব্রুসলি বা জ্যাকি চেনের সঙ্গে কখনও তার আলাপ হয়েছিল কি না সেটা অবশ্য জানা নেই। তবে চিনের এই চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জির ক্যারাটের প্যাঁচ দেখে হয়তো নতুন করে ভাবনা চিন্তা করছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক। চিনের হেফেই ওয়াইল্ড লাইফ পার্কের (China's Hefei Wildlife Park) বছর বারোর দুষ্টু শিম্পাঞ্জি ইয়াং ইয়াং। বেশ ছটফটে। শুক্রবার সকালে হঠাৎই তার ইচ্ছা জাগে চিড়িয়াখানার বাইরে বেরিয়ে একটু হাওয়া খাবে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। খাঁচার দরজা কোনও এক অভিনব কায়দায় খুলে ফেলে সে পালানোর চেষ্টাতেই ছিল। কিন্তু বাদ সাধেন এক কিপার। চমকটা শুরু হয় এর পরেই। যে ঘটনা ঘটে তার ভিডিয়ো নেট দুনিয়ায় শেয়ার করেছে হেফেই পুলিশ।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, চিড়িয়াখানার একেবারে মূল দরজার কাছে পৌঁছে গিয়েছে ইয়াং ইয়াং। আনন্দে লাফাতে লাফাতে যখন সে বেরোতে যাবে, সামনে চলে আসেন ওই কিপার। কুছ পরোয়া নেই, এমন একটা ভাব দেখিয়ে সামান্য পিছিয়ে, ফের ছুটে এসে অনেকটা ব্রুসলির কায়দায় কিপারকে মারে ক্যারাটের এক প্যাঁচ। যদিও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মতে ওটা ঠিক ক্যারাটে নয়, অনেকটা উড়ে এসে লাথি মারার মতো। তা সে যাই হোক, কিপারকে ধরাশায়ী করে ফের সে দৌড়োদৌড়ি শুরু করে গোটা এলাকা জুড়ে।পরে ঘুমপাড়ানি গুলিই ইয়া ইয়াং-কে চিড়িয়াখানায় ফেরায়।