প্রতি বছর ২৬ জুন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে পালন করা হয় এই দিনটি। সমাজকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর একটি রেজুলেশন পেশ করে জাতিসংঘ, যা পাশ করে সকল দেশ। ১৯৮৯ সালের ২৬ জুন প্রথমবার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। অ্যালকোহল, সিগারেট সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য তাৎক্ষণিক সুখ দেয়, মানসিক চাপ থেকে মুক্ত করে এবং কিছু মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এই ছোট ছোট আনন্দ পাওয়ার জন্য মাদকের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায় মানুষের এবং ধীরে ধীরে এই আসক্তি ক্ষতি করে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের।
প্রতিনিয়ত যুবসমাজের মধ্যে বৃদ্ধি পায় মাদকাসক্তি। সাধারণত ধৈর্যের অভাবে যুবসমাজ ছোটখাটো বিষয়ে বৃদ্ধি পায় মানসিক চাপ বা রাগ, যার কারণে সহজেই বিষণ্নতার শিকার হয় তারা। বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার শুরু করে তারা। এছাড়া কখনও কখনও ভুল সঙ্গীর কারণেও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার শুরু করে তারা। তারা জানেন না ভবিষ্যতে কত বড় ক্ষতি করতে পারে এই অভ্যাস।
যেকোনও ধরনের মাদক সেবন শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলতে পারে। সব সময় নেশায় থাকার কারণে হিংস্র হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অ্যালকোহল এবং সিগারেটের অতিরিক্ত সেবন করলে বেড়ে যায় ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার ঝুঁকি। প্রজনন ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে মাদকাসক্তি। শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির মতো সমস্যা দেখা যায় পুরুষদের মধ্যে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। লিভারেরও ক্ষতি হয়। পাকস্থলী, স্তন, মুখ ও গলার ক্যান্সারও হতে পারে।