Bubonic Plague: ফিরে এলো শতাব্দী প্রাচীন মারণ রোগ বুবোনিক প্লেগ
প্রতীকী ছবি (Photo Credit: Pixabay)

ওরেগনে মানব শরীরে বুবোনিক প্লেগের ( Bubonic Plague) হদিস। ওরেগনে ২০১৫ সালে এক ব্যক্তির শরীরে বুবোনিক প্লেগের সংক্রমণ দেখা দেয়। ওরেগনে এটিই প্রথম বিরল ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঘটনা। ব্যক্তিটি একটি বিড়াল থেকে সংক্রামিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ডেসচুটস কাউন্টির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, জেন্টামাইসিন এবং ফ্লুরোকুইনোলোনসের মতো সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে প্লেগের প্রাথমিক চিকিৎসা করা সম্ভব, তবে বিবৃতি অনুসারে এই রোগটি মানুষের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

আরও পড়ুন: Valentine’s Day 2024 Google Doodle: ভালোবাসা দিবসে গুগল তৈরি করেছে ডায়াটমিক ডুডল, ‘Cu Pd’-র প্রকাশ করেছে প্রেমের রসায়ন

বুবোনিক প্লেগ কোনও নতুন রোগ নয়। বুবোনিক প্লেগকে মধ্য যুগে বলা হত ব্ল্যাক ডেথ। মধ্য যুগে এই মারণ রোগে ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ছোঁয়াচে এই রোগ মূলত ইঁদুর, কাঠবেড়ালি জাতীয় প্রাণী থেকে ছড়ায়। আক্রান্ত মাছি কামড়ালে এই রোগ হতে পারে। ব্যাকটিরিয়া ফুসফুসে পৌঁছলে বিউবোনিক প্লেগ নিউমোনিক প্লেগের চেহারা নিতে পারে। প্লেগের মধ্যে সব থেকে বিপজ্জনক এই নিউমোনিক প্লেগ। কাশির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। অতীতে এর কোনও চিকিৎসা না থাকলেও, বর্তমানে সঠিক সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়লে তা চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। ঠিক সময়ে ধরা পড়লে বিউবোনিক ও নিউমোনিক- দুই ধরনের প্লেগ থেকেই সেরে ওঠা সম্ভব। সাম্প্রতি এই রোগটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবার দেখা দিতে শুরু করেছে।

প্লেগের উপসর্গ

সংক্রমণ দেহে প্রবেশের কয়েকদিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। বুবোনিক প্লেগের অন্যতম উপসর্গ হল জ্বর, শারীরিক দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ও পেশিতে ব্যথা।