সবুজ শাকসবজি সবসময় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভারতে অনেক ধরনের শাক-সবজি উৎপাদন করা হয়, যার সাহায্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময় হয়। তবে আজ জেনে নেব শসার মতো দেখতে জুকিনির উপকারিতা। জুকিনি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি সবজি, যা অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। জুকিনি খেলে পাওয়া যায় ফোলেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং প্রাকৃতিক চিনি। জুকিনি খাওয়ার ফলে হাড় মজবুত হয়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়, হজমশক্তি ভালো থাকে, ডায়াবেটিস উপশম করতে এবং ওজন কম করতে সাহায্য করে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড় প্রায়ই দুর্বল হয়ে যায়, যার কারণে প্রায়ই শরীরে ব্যথা এবং দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ে। জুকিনি খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে পাওয়া যায়, যার কারণে হাড় স্টিলের মতো শক্ত হয়ে যায়। জুকিনিতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এবং জুকিনিতে উপস্থিত লুটেইন ও জিক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেটিনাকে সুস্থ করে তোলে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যার জন্য জুকিনি একটি ভালো ওষুধ। জুকিনিতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবারের সাহায্যে পাকস্থলীতে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়তে শুরু করে।
জুকিনি ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যার কারণে দীর্ঘক্ষণ ক্ষিদে পায় না এবং অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করার কারণে ধীরে ধীরে ওজন কমতে শুরু করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের অবশ্যই জুকিনি খাওয়া উচিত, কারণ এর সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত কমে যায়। জুকিনিতে রয়েছে উচ্চ ফাইবার এবং কম কার্বোহাইড্রেট, যার কারণে ইনসুলিনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। জুকিনি নিয়মিত খেলে শিরায় উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরল কমতে শুরু করে, যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং ট্রিপল ভেসেল ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।