মাইগ্রেন একটি অসহ্য মাথাব্যথা, যা কখনও অর্ধেক মাথায়, আবার কখনও পুরো মাথায় হতে পারে। সঠিক সময়ে এই ব্যথার চিকিৎসা না করা হলে এই ব্যথা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। সাধারণ কোনও মানসিক চাপ, জীবন যাপনের ধরন বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মাইগ্রেন হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাইগ্রেনের ব্যথা এড়িয়ে চলার একমাত্র উপায় হল সময়মতো এটি সনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসা করা। চলুন মাইগ্রেন (Migraine) সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক...

মাইগ্রেনের লক্ষণ :

মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হওয়ার আগেই কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। যাকে বলা হয় প্রোড্রোম বা প্রি-হেডেক। প্রড্রোমের সময় হালকা মাথাব্যথার পাশাপাশি আরও কিছু লক্ষণের উপর নজর রাখা উচিত।

  • এই সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত হাঁপানি ও প্রস্রাব হলে, এছাড়া মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা করলে বুঝে নিতে হবে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে।
  •  মাইগ্রেনের আগে পরিবর্তন হতে পারে ব্যক্তির আচরণ। মাইগ্রেনের কয়েক ঘন্টা আগে খিটখিটে লাগতে পারে। মন খারাপ করতে পারে। অনেক সময় হঠাৎ করে কোনও কাজে উৎসাহ কমে যেতে পারে। এই লক্ষণগুলি দেখা দেওয়ায় কিছু সময় পরে শুরু হতে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা।
  •  মাইগ্রেনের আগে ক্লান্ত বোধ হতে পারে, এমনকি তাদের ঘুমের ধরণও পরিবর্তন হতে পারে। খুব বেশি ঘুমাতে শুরু করে বা কারোর একদম ঘুম আসে না। কখনও উজ্জ্বল আলো ও শব্দও ট্রিগার করতে পারে মাইগ্রেনকে।
  • অনেক সময় মাইগ্রেনে হজম ক্ষমতা কমে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হলে এটি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মাইগ্রেন কমানোর উপায়:

  • যতটা সম্ভব ক্যাফেইন কম পান করা যায় ততই ভালো।
  •  মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধ্যান খুবই উপকারী। এটি মন ও শরীরের পেশীগুলিকে শিথিল করে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট করে ধ্যান করা উচিত।
  •  কিছু খাবার খাওয়ার ফলে মাইগ্রেন বেড়ে যেতে পারে। পুরনো পনির, বাদাম, মশলাদার জিনিস, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অ্যালকোহল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
  •  মাইগ্রেন কমানোর জন্য ভালো করে ঘুম খুব উপকারী। শান্ত এবং একদম কম আলোকিত বা অন্ধকার জায়গায় ঘুমান।
  •  ঘুমানোর কম করে আধা ঘন্টা আগে মোবাইল ফোন বা ফোনের স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।