North Korean Leader Kim Jong-Un (Photo Credit: X)

দিল্লি, ৭ মার্চ: কিম জং উনের (Kim Jong Un) দেশে বসবাস কতটা কঠিন, তা ফের প্রকাশ করলেন উত্তর কোরিয়া (North Korea) থেকে পালানো এক ব্যক্তি। তিমোথি চো নামে এক ব্যক্তি পরপর দুবারের প্রচেষ্টার পর অবশেষে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে ব্রিটেনে গিয়ে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে পারছেন। উত্তর কোরিয়া থেকে পালানোর পর  তিমোথি একাধিক বিষয় প্রকাশ্যে আনেন কিমের দেশের।

তিমোথি জানান, উত্তর কোরিয়ায় টিভি কেনা অত্যন্ত বিপদজ্জনক। কেউ যদি টিভি কেনেন, তাহলে সরকারি আধিকারিকরা নিয়ম করে তাঁর বাড়িতে হাজির হন। সেই ব্যক্তির বাড়িতে হাজি হয়ে উত্তর কোরিয়ার সরকারি আধিকারিকরা সমস্ত অ্যান্টেনা কেড়ে নেন। শুধুমাত্র কিম জং উনের পরিবারের প্রোপাগন্ডা যেখানে চলে, তাঁদের পরিবারের আদর্শ, ধর্ম, শুধু সেগুলিই চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিম জং উনের পরিবারের অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কিছু যাতে টিভিতে না চলে, সে বিষয়ে দেওয়া হয় কড়া নির্দেশ।

শুধু তাই নয়,  স্কুল পড়ুয়ারা কীভাবে চুল কাটবে, সে বিষয়েও জারি করা হয় কড়া নির্দেশ। স্কুল পড়ুয়াদে জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি চুলের কাট ঠিক করে দেয় কিম প্রশাসন। তার বাইরে গেলে সেই পড়ুয়ার বাবা, মাকে বিপদে পড়তে হয় বলে জানান তিমোথি চো নামে ওই ব্যক্তি। এসবের পাশাপাশি প্রত্যেক সপ্তাহে কিম জং উন এবং তাঁর বাবা এবং ছেলের স্ট্যাচুর নীচে প্রত্যেক নাগরিককে যেতে হয় এবং মাথা নীচু করে প্রার্থনা সারতে হয়।

তিমোথি আরও জানান, উত্তর কোরিয়া থেকে পালানো সোজা কথা নয়। ১৯৫০ সাল থেকে এই পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজার মানুষ উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে অন্য দেশে যেতে পেরেছেন। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল, চিন, ইউরোপ এবং আমেরিকায় ওই সমস্ত মানুষরা থাকতে শুরু করেন। তবে উত্তর কোরিয়া থেকে পালাতে গিয়ে যদি কেউ ধরা পড়েন, তাহলে তাঁর জীবন প্রায় শেষ করে দেয় কিম জং উন প্রশাসন। এমন তথ্যও প্রকাশ করেন সম্প্রতি ব্রিটেনে পালানো তিমোথি চো।