ভারতীয় মাঘ মাসের রথযাত্রার সপ্তম তিথিতে পালন করা হয় বিশ্ব সূর্য নমস্কার দিবস। রথ সপ্তমী ভাস্কর সপ্তমী, অচল সপ্তমী, ভাক্রি সপ্তমী, মহা সপ্তমী, ভানুসপ্তমী, সূর্য সপ্তমী নামেও পরিচিত। প্রতি বছর রথ সপ্তমীর দিনে সারা বিশ্বের মানুষ পালন করে বিশ্ব সূর্য নমস্কার দিবস। এই বছর রথ সপ্তমী তথা সূর্য নমস্কার দিবস পালন করা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার। এই দিন সকাল সূর্যোদয়ের সময় বিভিন্ন স্থানে সূর্য নমস্কার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সূর্য নমস্কার খুবই উপকারী ব্যায়াম হওয়ার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক, মানসিক এবং শারীরিক শক্তিও প্রদান করে। সূর্য নমস্কার হল ৮টি আসনের একটি সেট যা ১২টি ধাপে করা হয়। সূর্যের প্রতিটি রশ্মির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য‌ করা হয় সূর্য নমস্কার।

সূর্য হল শক্তির প্রাথমিক উৎস এবং খাদ্য শৃঙ্খলের চক্র বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও সূর্য মানুষের মন ও শরীরকে শক্তি প্রদান করে। তাই এই দিনটি সবার জন্য খুবই বিশেষ। সূর্য নমস্কার করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের রশ্মিতে ভিটামিন ডি থাকে, এই ভিটামিন শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সূর্য নমস্কার হল সূর্যের ঐশ্বরিক শক্তির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের একটি উপায়। হিন্দু ধর্মে জীবন এবং প্রাণশক্তির প্রতীক সূর্য। সূর্য নমস্কারে অন্তর্ভুক্ত আসনগুলি পুরো শরীরের ব্যায়াম প্রদান করে এবং নমনীয়তা, শক্তি ও সহনশীলতার উপর কাজ করে। সূর্য নমস্কারের মাধ্যমে দিন শুরু করা পুরো শরীর চর্চার মাধ্যমে একটি দুর্দান্ত উপায়।

গভীর, নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মিলিত ছন্দবদ্ধ নড়াচড়া মনকে পরিষ্কার করতে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে সূর্য নমস্কার। এটির অনুশীলন শান্তি এবং মানসিক স্বচ্ছতা আনতে পারে। সূর্য নমস্কার বিপাক বৃদ্ধি করতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি শরীরকে সতেজ রাখার নিখুঁত উপায়। সূর্য নমস্কার শরীর, মন এবং আত্মাকে একত্রিত করে। এছাড়া এটি মানসিক একাগ্রতা এবং আধ্যাত্মিক সচেতনতাকে একত্রিত করে। আধ্যাত্মিক বিকাশ, মানসিক সুস্থতা এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য এই অনুশীলনের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সূর্য নমস্কারের গুরুত্ব এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালন করা শুরু হয়েছিল বিশ্ব সূর্য নমস্কার দিবস।