কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, কলায় অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁকা কলার পাশাপাশি নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ওজন কমানোর চেষ্টা করলে কলা খাওয়া উপকারি। কাঁচা কলায় পাওয়া যায় প্রচুর ফাইবার এবং ক্যালরি কম থাকে। এটি ক্ষুধা হ্রাস করতে সাহায্য করে, যার ফলে সারাদিনে বেশি খাওয়ার প্রয়োজন হয় না এবং ধীরে ধীরে ওজন হ্রাস পায়।
কাঁচা কলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যার ফলে ক্যান্সার এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতির মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। আবদ্ধ ফেনোলিক্স প্রচুর পরিমাণে কাঁচা কলায় পাওয়া যায় যার প্রিবায়োটিক প্রভাব রয়েছে। এর সাহায্যে ভালো ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌঁছায়, যার ফলে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়। কাঁচা কলায় কম মিষ্টি থাকার কারণে এটি পাকা কলার চেয়ে বেশি ভালো।
কাঁচা কলায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধী স্টার্চ থাকে যা স্বাস্থ্যকর এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা সবুজ কলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৩০ থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। কাঁচা কলায় এমন পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়। পাকা কলার মতো কাঁচা কলাতেও পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং হার্টের ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।