দীর্ঘদিন ধরে নাক বন্ধ থাকার সমস্যায় ভুগছিলেন ৫৯ বছর বয়সী থাই মহিলা, তার সঙ্গে হত মুখে ব্যথা। এক সপ্তাহব্যাপী এই সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করার পর একদিন নাক থেকে রক্তপাত শুরু হয়। জানা গেছে, রক্তপাত শুরু হওয়ার পর একটুও সময় নষ্ট না করে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইয়ের নাকর্নপিং হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক তার নাকের এক্স-রে পরীক্ষা করে কিছু দেখতে পান। এরপর ডাক্তারের টিম এন্ডোস্কোপি ব্যবহার করে দেখতে পান মহিলার নাকের ভিতরে ১০০ টিরও বেশি ম্যাগট হামাগুড়ি দিচ্ছে। মহিলার নাক থেকে ধীরে ধীরে ম্যাগটগুলি বের করার পর ওই মহিলার সুস্থ অনুভব করতে শুরু করেন।
জানা গেছে, বেশি দিন এভাবেই রেখে দিলে ধীরে ধীরে লার্ভাগুলি চোখ বা মস্তিষ্কের মতো নিকটবর্তী অঙ্গগুলিতে স্থানান্তর করতে শুরু করত, যা গুরুতর রোগের কারণ, এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। নাকর্নপিং হাসপাতাল ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানায় এই ঘটনা। এই পোস্টে লেখা ছিল, বন্ধ নাকের সঙ্গে মুখে ব্যথা করত ৫৯ বছর বয়সী মহিলার। সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা চলছিল ওই মহিলার। ১ সপ্তাহ ধরে নাক বন্ধ থাকলেও মনে করা হয় ডাস্টের কারণে হয়েছে। নাক দিয়ে রক্তপাত শুরু হলে নাকর্নপিং হাসপাতালে আসার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। চিকিৎসক এন্ডোস্কোপের মাধ্যমে দেখতে পান নাকের ভেতর রয়েছে অসংখ্য পোকা, যা ধীরে ধীরে বের করা হয়।
হাসপাতালের তরফে আরও লেখা হয় যে নাকর্নপিং হাসপাতালের একজন অটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট এক্স-রে পরীক্ষা করে দেখেন বাম জাইগোম্যাটিক সাইনাসে রয়েছে একটি সাদা দাগ। এন্ডোস্কোপি করার সময় ১০০ টিরও বেশি পোকা দেখতে পাওয়া যায়। সেই পোকাগুলি বের করার পর রোগী এখন নিরাপদ। ২০২২ সালের শুরুর দিকে, পর্তুগালে এমনই এক ঘটনা হয়। এক চিকিৎসকের কাছে যায় কানের মাংস খাওয়া কৃমি দ্বারা সংক্রামিত ৬৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। পাঁচ দিন ধরে ব্যথা, চুলকানি এবং রক্তপাতের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।