স্কটিশ মহিলা বৈজ্ঞানিক Mary Somerville-র জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করে ডুডল বানাল গুগল (Photo Credits: Screenshot/Google)

Mary Somerville Google Doodle: ১৯ শতকের বেস্ট সেলার (Best Seller) বিজ্ঞানের বই (Book Of Science) হিসেবে নাম পাওয়া যায় ‘দ্য কানেকশন অফ দ্য ফিজিক্যাল সায়েন্স (The Connection Of The Physical Science)'-এর। যাঁর লেখিকা স্কটিশ মহিলা বৈজ্ঞানিক Mary Somerville। ১৮২৬ সালের আজকের দিনেই অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে (Royal Society) পাঠ করা হয়েছিল তাঁর পদার্থবিজ্ঞানের (Physical Science) ওপর লেখা একটি নিবন্ধ। বিশ্বের প্রাচীনতম বিজ্ঞান প্রকাশনী হিসেবে তাই আজকের দিনটিকে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করল গুগল। স্কটিশ মহিলা বৈজ্ঞানিকের ডুডলের মাধ্যমে আজকের দিনটিকে স্মরণ করল গুগল (Google)।

ইতিহাস বলছে, এই নিবন্ধই মেরির প্রথম নিবন্ধ হিসেবে কাগজে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। আসুন জানা যাক বিশ্বের অন্যতম মহিলা বৈজ্ঞানিকের সম্পর্কে। জানা যায়- ১৭৯০ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্কটল্যান্ডের জেডবার্গে জন্মেছিলেন মেরি। ছোটবেলা থেকেই শান্ত স্বভাবের ছিলেন মেরি। ছোটবেলায় মাকে বাড়ির চারপাশে কাজে সাহায্যের পাশাপাশি বাড়ির বাগানে বসে প্রকৃতি দেখতে ভীষণ ভালোবাসতেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবা তাঁকে ভর্তি করে দেন বোর্ডিং স্কুলে (Boarding School)। স্কুলের আঁকার শিক্ষিকার (Drawing Teacher) কাছে মেরি প্রথম জেনেছিলেন, কীভাবে ছবির মৌলিক বিষয়গুলি ইউক্লিডের জ্যামিতির উপাদান হিসেবে ফিরে পাওয়া যায়। এরপরেই সোমারভিল জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং গণিত নিয়ে পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বছরের পর বছর গবেষণার পরে তিনি তাঁর বৈজ্ঞানিক তথ্য জ্ঞান সম্বলিত নিবন্ধ বইয়ের আকারে প্রকাশ করেন। ১৮৩১ সালে মেরি সোমারভিলির লেখা ‘দ্য মেকানিজম অফ দ্য হেভেনস' সৌরজগত সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য পেশ করে। এই প্রবন্ধটিই পরে যুগান্তকারী বই ‘দ্য কানেকশন অফ দ্য ফিজিক্যাল সায়েন্স' নামে প্রকাশিত হয়ে বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল। এটি ১৯ শতকের বেস্ট সেলার এবং সেই সময়ের বিজ্ঞানের বইগুলির মধ্যে সেরা বই হিসেবে পরিচিত। আরও পড়ুন: কামিনী রায়ের ১৫৫ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাল গুগুল ডুডুল

বিজ্ঞানের পাশাপাশি তিনি নারী-পুরুষের সমানাধিকারেও (Communism) বিশ্বাসী ছিলেন। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি মহিলা ভোটারের স্বপক্ষে প্রথম স্বাক্ষর করেছিলেন। ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স (Institute Of Physics) সোমারভিলের উদ্ভাবনী চিন্তাকে সম্মান জানিয়ে তাঁর নামে মেডেল এবং পুরস্কার চালু করে ২০১৬ সাল থেকে।