যুগে যুগে পৃথিবীতে নতুন নতুন মানুষ জন্ম নেয়, যাদের এক একটি প্রজন্ম বলা হয় এবং এই প্রজন্মের বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়। বর্তমানে আমরা জেনারেশন জেড বা আলফা জেনারেশন সম্পর্কে শুনতে পাই। কিন্তু আজ ২০২৫ সালের সঙ্গে শুরু হচ্ছে নতুন প্রজন্মের গল্প - যার নাম জেনারেশন বিটা। সামাজিক গবেষক মার্ক ম্যাকক্রিন্ডলের মতে, ২০২৫ সাল থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুদের নিয়ে গঠিত জেনারেশন বিটা, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সাল থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে যারা জন্মগ্রহণ করবে তারা হবে জেনারেশন বিটা। এর আগে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা আলফা জেনারেশন এবং তার আগে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা জেড জেনারেশন।
একটি নতুন প্রজন্ম আসলে তার নতুন নামকরণ করা হয় - জেন জি, আলফা থেকে শুরু করে, গ্রীক বর্ণমালা থেকে এই প্রজন্মের নামকরণ করেছে মানুষ। ২০২৫ সাল থেকে যে শিশুরা জন্মগ্রহণ করবে, অর্থাৎ "বেটা কিডস", এই শিশুরা এমন এক সময়ে বড় হবে যখন প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে এই বিশ্বে। আগেকার মানুষ যেমন বই পড়ত, কিন্তু বর্তমানে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই থাকে স্মার্টফোনে। তেমনই অনুমান করা হয় যে জেনারেশন বিটার শিশুরা এমন একটি পৃথিবীতে বাস করবে যেখানে গাড়ি নিজেই চালাবে, স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য বিশেষ ধরণের পোশাক থাকবে, এককথায় অদ্ভুত অদ্ভুত এবং উন্নত প্রযুক্তি ও পরিবেশে বাস করবে তারা।
এই নতুন যুগে শেখার, খেলা এবং জীবনযাপনের একটি নতুন উপায় থাকবে। ২০২৫ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিনগুলি সর্বত্র থাকবে। জেনারেশন বিটা, অর্থাৎ ২০২৫ সালে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা এমন একটি বিশ্বে বড় হবে যেখানে সবকিছুই এক ক্লিক দূরে। তাদের কাছে স্মার্টফোন, কম্পিউটারের সঙ্গে রোবটের মতো সব ধরনের উন্নত প্রযুক্তি থাকবে। কিন্তু একই সঙ্গে তাদের অনেক বড় সমস্যারও সম্মুখীন হতে হবে। যেমন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান শহর এবং বিশ্বজুড়ে মানুষের জনসংখ্যা বৃদ্ধি। জেনারেশন বিটাকে এই পরিবর্তনগুলির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখতে হবে এবং অন্যদের সাহায্য করতে শিখতে হবে। এককথায় জেনারেশন বিটাকে সব ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।