আদিবাসী সমাজের ইতিহাস অনেক পুরনো। বর্তমান যুগেও এই আদিবাসী সমাজ পৃথিবীর প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আদি বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও, সমস্ত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে রয়েছে তারা। প্রতি বছর ৯ আগস্ট পালন করা হয় 'বিশ্ব আদিবাসী দিবস'। বর্তমান যুগেও ক্রমাগত বঞ্চনা ও সামাজিক নিপীড়নের শিকার হচ্ছে আদিবাসী সমাজ। অস্পৃশ্যতা দূর করে আদিবাসী সমাজকে উন্নয়নের অংশ করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। আদিবাসী সমাজকে উন্নয়নের মূল স্রোতে নিয়ে এসে অধিকার সম্পর্কে তাদের সচেতন করাই এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য।
আদিবাসী সমাজকে সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়, এই প্রস্তাব অনুযায়ী ৯ আগস্ট সারা বিশ্বে পালন করা হবে বিশ্ব উপজাতি দিবস বা বিশ্ব আদিবাসী দিবস। ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ব আদিবাসী দিবসের প্রথম আন্তর্জাতিক দশক হিসেবে পালন করা হয় এই দিনটিকে। ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল ছিল বিশ্ব আদিবাসী দিবসের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক দশক। ২০১৫ সাল থেকে এখন চলছে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের তৃতীয় দশক।
বিশ্ব উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বর্তমান যুগেও অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত ও সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত আদিবাসী সমাজ। উপজাতীয় জনগণের অধিকার এবং তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের স্বীকৃতির জন্য নিবেদিত বিশ্ব আদিবাসী দিবস। এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য হল উপজাতি সমাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। এছাড়া এই দিনটির উদ্দেশ্য হল উপজাতীয় সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ভূমি অধিকার, স্বায়ত্তশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করার সঙ্গে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য ও জীবনধারাকে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এবং সুরক্ষিত করা।