গণমাধ্যমকে বলা হয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, এর থেকেই বোঝা যায় গণমাধ্যম কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাংবাদিকতা হল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। সারা বিশ্বে প্রতিদিন প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে সাংবাদিকদের ওপর। গণমাধ্যমের গুরুত্ব এবং এই পেশার ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রতি বছর ৩ মে পালন করা হয় ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য হল গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূলনীতি উদযাপন, মূল্যায়ন এবং হামলা থেকে গণমাধ্যমকে রক্ষা করার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্বন্ধে।

বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সম্মান ও পুরস্কৃত করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা প্রতি বছর ৩ মে পালন করা হয় বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম দিবস। এই দিনটি পরিচিত 'বিশ্ব প্রেস ডে' নামেও। ১৯৯৭ সাল থেকে, ইউনেস্কো প্রতি বছর ৩ মে বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম দিবস উপলক্ষে প্রদান করে 'গুইলারমো ক্যানো ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম' পুরস্কার। এই পুরস্কার প্রাপককে দেওয়া হয় একটি সম্মাননাপত্র ও ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। যে সাংবাদিক বা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতার জন্য উল্লেখযোগ্য কাজ করে তাকে দেওয়া হয় এই সম্মান।

গুইলারমো ক্যানো ছিলেন একজন বিখ্যাত ইতালীয়ান সাংবাদিক, লেখক এবং সংবাদ সম্পাদক। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। বহু বিতর্কিত সত্যকে তুলে ধরার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছিলেন গুইলারমো ক্যানো। নিজের জীবনের পরোয়া না করে সাধারণ মানুষের সামনে সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর অনুপ্রেরণা এবং অবদানকে সম্মান জানাতে জন্ম হয় 'গুইলারমো ক্যানো ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড'।