প্রতি বছর ১৮ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় 'বিশ্ব বাঁশ দিবস'। বহু শতাব্দী ধরে মানবজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাঁশ। শাকসবজি, খাট, মই এবং কাঠের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বাঁশ। পরিবেশের জন্যও খুব ভালো মনে করা হয় বাঁশকে। 'বিশ্ব বাঁশ দিবস' উপলক্ষে প্রতি বছর মানুষকে বাঁশের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। ২০০৯ সালে 'বিশ্ব বাঁশ সংস্থা' কর্তৃক পালন করা শুরু হয় 'বিশ্ব বাঁশ দিবস'। বাঁশের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি।
অনেক জায়গায় খাদ্যবস্তু হিসেবে ব্যবহার করা হয় বাঁশ। পান্ডা ছাড়াও মানুষও বাঁশ খায়। বাঁশের অঙ্কুর স্টু, স্যুপ, গ্রেভি, আচার এবং সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। বাঁশ সাধারণত পাওয়া যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারতীয় উপ-মহাদেশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলিতে। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ হল বাঁশ। কিছু প্রজাতির বাঁশ প্রতিদিন প্রায় ১ মিটার করে বাড়তে পারে। বাঁশের বন অন্যান্য গাছের বনের তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদের জন্য বিশ্ব রেকর্ডে রয়েছে ৪৫টি প্রজাতির বাঁশ, যেগুলি প্রতিদিন ৯১ সেমি বা ৩৫ ইঞ্চি বা ০.০০০০৩ কিমি/ঘন্টা হারে বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।
আরএইচএস ডিকশনারি অফ গার্ডেনিং অনুসারে, বাঁশের প্রায় ১ হাজার প্রজাতি রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের সবচেয়ে লম্বা বাঁশটি ছিল ৪০ মিটার বা ১৩০ ফুট উঁচু। ইউরোপ এবং আমেরিকার সবচেয়ে লম্বা বাঁশটি হল ২০-৩০ মিটার বা ৬৫-৯৮ ফুট। অক্সিজেনের উৎস হল বাঁশ। অন্যান্য গাছের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি অক্সিজেন উৎপন্ন করে বাঁশ। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণ করে বাঁশ গাছ।