কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর: আজ বিশ্বকর্মা পুজো (Viswakarma Puja)। কলকাতাসহ সংলগ্ন জেলাগুলির ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, কলেজগুলিতে চলছে পুজো। আকাশে লাল, নীল, সবুজ ঘুড়ির মেলা। পেটকাটি, চাঁদিয়াল ঘুড়ির (Kites) ঝাঁক। কচি কাঁচারা বই খাতাকে ভো- কাট্টা করে সকাল থেকে ঘুড়ি- লাটাইয়ে মত্ত। পাড়ায়, অলিতে গলিতে উৎসবের আমেজ। শ্রম ও শিল্পের দেবের আরাধনার মধ্যে দিয়ে ঢাকে কাঠি পড়বে দুর্গাপুজোর। সাধারণত ভাদ্র মাসের শেষ দিনে পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। সেই দিনটি হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বাংলা ক্যালেন্ডার মতে এবছর ১৭ সেপ্টেম্বর পুজো হচ্ছেনা। আজ অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথা মেনে শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। ১০ বছর পর ফের হল তারিখের পরিবর্তন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গতকাল বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হলেও বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ভাদ্র মাসের শেষ দিন পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। প্রতি ১০ বছর অন্তর ভাদ্র মাসের শেষদিন ১ দিন পিছিয়ে যায়। এবারও তাই ঘটেছে। হাওড়া, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলগুলিতে থিম পুজোর প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে। রাত্রিবেলা দর্শনার্থীরা ভিড় জমাবেন এই পুজা মণ্ডপ গুলিতে। আরও পড়ুন, 'বিশ্বকর্মা পুজো'য় উড়বে 'ইচ্ছে ঘুড়ি'; শ্রম মুক্তির আর্তি লিখে দুর্গতিনাশিনীর ঠিকানায় পাঠাবে বস্তি পাড়ের ক্ষুদে শ্রমিকের দল
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা হলেন বিমান নির্মাতা ও কর্মকার। শিল্পের দেবতা হিসেবেই মানা হয়ে আসছে তাঁকে। শিল্পের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত শ্রম (Labour)। তাই সুপ্রাচীন কাল থেকেই 'বিশ্বকর্মা পুজো'র (Viswakarma Puja) দিন কর্মোন্নতির জন্য দেবশিল্পীর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে আসছেন শ্রমিকেরা (Labours)। জানা যায়, সুপ্রাচীনকালে ভারতবর্ষে এই দিনটাই ছিল শ্রমিক দিবস (Labour's Day)। তাই মূর্তি গঠনে চার হাত বিশিষ্ট বিশ্বকর্মার এক হাতে দাঁড়িপাল্লা এবং দুই হাতে থাকে হাতুড়ি ও ছেনি।