কলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর: দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা (Viswakarma) হলেন বিমান নির্মাতা ও কর্মকার। শিল্পের দেবতা হিসেবেই মানা হয়ে আসছে তাঁকে। শিল্পের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত শ্রম (Labour)। তাই সুপ্রাচীন কাল থেকেই 'বিশ্বকর্মা পুজো'র (Viswakarma Puja) দিন কর্মোন্নতির জন্য দেবশিল্পীর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে আসছেন শ্রমিকেরা (Labours)। জানা যায়, সুপ্রাচীনকালে ভারতবর্ষে এই দিনটাই ছিল শ্রমিক দিবস (Labour's Day)। তাই মূর্তি গঠনে চার হাত বিশিষ্ট বিশ্বকর্মার এক হাতে দাঁড়িপাল্লা এবং দুই হাতে থাকে হাতুড়ি ও ছেনি। কিন্তু এ যেন উলট পুরাণ। এবার শ্রমিক দিবসে শ্রম মুক্তির আর্তি জানাবে ওরা। মনের কথা লিখে দুর্গতিনাশিনীর ঠিকানায় পাঠিয়ে চাইবে স্বাভাবিক জীবন। ওরা কলকাতার (Kolkata) বস্তি পাড়ের শিশু শ্রমিকের (Child Labour)দল। 'বিশ্বকর্মা পুজো'র দিন ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ঘুড়ি (Kite) বানিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আর্তি লিখে মা দুর্গার উদ্দশ্যে পাঠিয়ে দেবে ক্ষুদেরা। বাঙ্গুর (bangur) এলাকার এনজিও (NGO) 'আর্গোভব হিউম্যানিটি ডেভেলপমেন্ট' আয়োজন করেছে এমনই এক অনুষ্ঠানের।
সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই কাজ করে এই এনজিও। সংস্থার কর্ণধার মহেন্দ্র আগরওয়াল (Mahendra Agarwal)'লেটেস্টলি' (Latestly) বাংলাকে বলেন, কিছু ঘুড়ি কিনে দেওয়া হয়েছে। বাকি ঘুড়িগুলো বানানো হচ্ছে ফেলে দেওয়া খবরের কাগজ (News Paper), ক্যালেন্ডারের (Calender) স্টিক দিয়ে। বানাচ্ছে ওরাই। ঘুড়ির দুই দিকের একদিকে সাদা কাগজের উপর স্কেচ পেন (Scatch Pen) দিয়ে মা দুর্গার মুখ এবং অন্যদিকে শিশুশ্রম মুক্তিমূলক বিভিন্ন ছবি ও কথা লিখে দিচ্ছে ওরাই। তারপর সেই ঘুড়ি ওরাই ওড়াবে। মনের ইচ্ছে পৌঁছে দেবে দুর্গতিনাশিনীর ঠিকানায়। বিভিন্ন জেলার বাচ্চারা অংশ নিচ্ছে এই অনুষ্ঠানে। 'বিশ্বকর্মা পুজো'র দিন অর্থাৎ বুধবার নিজেদের বানানো ঘুড়ি আকাশে ওড়াবে ওই সমস্ত ক্ষুদেরা। আরও পড়ুন-Vishwakarma Puja 2019: শ্রমজীবী মানুষের ভোকাট্টা স্বপ্নকে সুতোয় বাঁধতে প্যান্ডেলে হাজির বিশ্বকর্মা, বাংলায় কাল পুজো
পুজোর আগের দিন মঙ্গলবারও একই মনস্কামনা জানিয়ে কলকাতার 'ময়দান' (Maidan) থেকে 'ইচ্ছে ঘুড়ি' উড়িয়েছে ওরা। বাঙ্গুর এলাকায় নিজেদের কার্যালয়ে (Office) আগামীকাল ঘুড়ি ওড়াবার অনুষ্ঠান রেখেছে সংস্থা বলে জানা গিয়েছে।