ভারতের বিজ্ঞানীদের দ্বারা এবং মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে উজ্জ্বল কৃতিত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় জাতীয় মহাকাশ দিবস। এই দিনটি মনে করিয়ে দেয় যে কীভাবে বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মহাকাশ বিজ্ঞানে একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ বানিয়েছেন ভারতকে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যকে তুলে ধরে এই দিনটি। চন্দ্রযান-৩ মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে মহাকাশ গবেষণায় কতটা এগিয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের যুবসমাজকে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করে এই অর্জন।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা এবং বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের প্রতি সম্মান ও সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভারতে পালিত হয় জাতীয় মহাকাশ দিবস। ২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যে চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের জন্য প্রতি বছর ২৩ আগস্ট জাতীয় মহাকাশ দিবস পালন করা হবে ভারতে। চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডারের সাফল্যকে স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে বিক্রম ল্যান্ডারের অবতরণ স্থানটি পরিচিত হবে 'শিবশক্তি' নামে। বেঙ্গালুরুতে ISRO টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্ক মিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্সে বিজ্ঞানীদের ভাষণ দেওয়ার সময় জায়গাটির নাম ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট দিনটিতে চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে, যা ভারতকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সফলভাবে চন্দ্রের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে ভারতকে। এই দিন ভারত মহাকাশ গবেষণায় তৈরি হয় একটি নতুন রেকর্ড। তাই প্রতি বছর ২৩ আগস্ট পালন করা হয় জাতীয় মহাকাশ দিবস। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য হল ভারতের মহাকাশ গবেষণার কৃতিত্বকে সম্মান জানানো, বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা এবং যুব সমাজকে বিজ্ঞান ও মহাকাশের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করা। ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট প্রথমবার পালিত হবে জাতীয় মহাকাশ দিবস।